Wednesday, June 29, 2016

গোমূত্র কী জয় হো...


   ভাবছি গির অঞ্চল থেকে শ'কয়েক গরু আনাবো। ভাবছেন বাংলাদেশে পাচার করবো? আরে না ভাই। সীমান্তে থেকেও এ কাজটা রপ্ত করতে পারলামনা, ভয়ে। কারণ, শুনেছি বিএসএফ- এর গুলি সামনে মারলে নাকী পেছন দিকদিয়ে যায়! গুলি খেলে তো ভালো নইলে, এমন মারে যে গুলির চাইতে বেশী  ঝাঁঝড়া করে। যাক সে কথা, গরু আমদানি  করে শ্রীমতী  মেনকা গাঁধীর মতানুসারে  গোমূত্র  দিয়ে  ঘরদোর  সাফসুতরাও করবোনা। তবে? স্বর্ণ  ব্যবসা  শুরু করবো ভাবছি। কেননা,  গির অঞ্চলের গরুর মূত্রে নাকী সোনা পাওয়া যাচ্ছে! তবে, আমি কিন্তু  রাজহাঁসের বোকা মালিকের মত করবোনা। একদিনেই সোনার মালিক হবার লোভে গরু কেটে তার মূত্রাশয় থেকে সমস্ত  মূত্র  বাহির করতে যাবোনা। নইলে, আমার গরুও যাবে সোনাও যাবে আর গোমাতা  সন্তানদের হাতে আমার প্রাণও যাবে। জয় গোমাতা।

Friday, June 24, 2016

বামফ্রন্ট না চাঁদা ফ্রন্ট?

         গতকাল  অর্থাৎ  '২৪' শে জুন ২০১৬ বৃহস্পতিবার  বিকেলে কলকাতার মেট্রোষ্টেশনে CPI(M) তথা বামফ্রন্টের পুরনো ঐতিহ্য  নতুন করে দেখলেন রাজ্যবাসী। সেটা কী? নাকী শাসক দলের দুষ্কৃতিদের আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যর্থে তহবিল  সংগ্রহ।  কাজটা মন্দ নয় তবে, ভালো বলে অন্তত  আমি মানতে পারছিনা। কারণ, সেই  কবে থেকে দেখে আসছি, নানান ইস্যুতে কৌটার গায়ে CPI(M) বা CITU লেখা স্টিকার সাটিয়ে পথেঘাটে কৌটা বাজিয়ে বাজিয়ে টাকা সংগ্রহ করা। আরে সরকারে আপনারা (তৎকালিন) আর পার্টি চালাতে নাকী টাকা দিতে হবে আমাকে আর আপনাকে! তারমধ্যে সব চাইতে মজার ব্যাপারটা হয়েছিল শাসনকালে একবার বিমান বসু আইন লঙ্ঘন  করার অপরাধে কলকাতা হাই কোর্টে মামালা লড়ার জন্যও টাকা সংগ্রহে নেমে ছিলেন। ভাবুন একবার আইন ভেঙে অপরাধ  করলেন উনি আর তার মামলা লড়ার খরচ জোগালেন আপনি? তাই, এ ধাপ্পাবাজিটা বন্ধ  হওয়া দরকার। কারণ, শাসক  দলের দুষ্কৃতিদের হাতে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের নামে দলের সমর্থন  কতটা(?) মেপে  নেওয়ার চাতুরীটা এবার বন্ধ  করুন। শাসনকালেও আপনাদের এ কৌশল মানুষ  ভয়ে ভক্তিতে নিরবে সহ্য করেছেন। এমনিতেই '৩৪' বছরে অনেক চুষেছেন। ডাল, চাল আর তেল, আলুর মূল্যবৃদ্ধিতে মানুষের পকেটে এমনিতে টান পড়েছে তথাপি,  এ অর্থ  সংগ্রহ  সাধারণ মানুষের উপর গোদের উপর বিষ ফোড়ার সামিল। আরে আপনাদের এতই যদি দরদ উথলে পরছে তবে, পার্টি ফান্ডে কোটি কোটি টাকাগুলো জমিয়ে না রেখে সেগুলো দিননা!

Monday, June 20, 2016

"দিদিগিরী"


        '২০১১' তে মূখ্যমন্ত্রী 'মমতা ব্যানার্জী' বলেছিলেন - বিরোধীরা এখন ১০ বছর চুপ করে বসে থাকুন কোন কথা বলবেননা। কথাটা অগণতান্ত্রিক  হলেও খুব অমূলক নই মোটেই। কারণ, ওদের কথাও শুনতে আর ভালো লাগছিলনা। কাজেই  ওরা কয়েকটা বছর চুপ করে থাকতে বলে দিদি কিন্তু  পক্ষান্তরে আমজনতার কানদুটোকে খানিকটা স্বস্তিও দিয়েছেন। কিন্তু,  এবার '২০১৬' তে সেরকম কোন বিধি নিষেধের কথা শোনা যায়নি। কারণ, হইত গতবারের নিষেধাগ্গা বজায় আছে বলে। নইলে বিরোধীদের অন্তত  আরও ১৫ বছর অপেক্ষা করতে হতো। সে যায় হোক আমি বিরোধী  দলের লোক নই কাজে আমার কথা বলার নিষেধাগ্গা নেই। তাই  দুকথা বলা যেতেই পারে। দিদি সারদা কেলেঙ্কারী প্রকাশ্যে আসার পর বলেছিলেন- মুকুল চোর? মদন চোর? কুনাল চোর?  ইত্যাদি।  কিন্তু,  পরবর্তীতে তারা প্রত্যেকে চুরির দায়ে অভিযুক্ত। কিন্তু,  সে থেকে  দিদি কিন্তু  শিক্ষা  নিলেননা। আবার একই ভুল করলেন। প্রথমে বললেন 'নারদ স্টিং কান্ড' জাল। কিন্তু  ভোট বড় বালাই  ঠিক ভোটের আগে মুহূর্তে বললেন- "আগে জানলে ওদের ভোটের টিকিট দিতামনা"। কিন্তু,  এখন আর কিছু করা যাবেনা। আর তা শুনে আমাদের বর্ধমূল ধারণা হয়েছিল যে দিদি এবার ছড়ি ধরবেন কিন্তু,  যেই  ভোট বৈতরণী পার হলো দিদি স্বমহিমায়। এবং  প্রশ্ন ছুড়েদিলেন, "ওদের কী সংসার চলেনা যে সামান্য  কটা টাকা ঘুষ নিতে যাবে"? দিদির একথাটা  কিন্তু,  সংসার  না চলা সমস্ত  লোকদেরকে ঘুষখোর  বানিয়ে  দেবার সামিল। তাছাড়া,  পরিক্ষার আগেই  ফলাফল জানিয়ে দেওয়া। কিসের টাকাতে কার সংসার চলে। যদিও দিদির আগামী '৫' বছর কথা বলার ক্ষমতা আছে তথাপি উঁনার জানা উচিৎ সংসার না চলা অনেক সৎলোক দেশে এখনো অনেক আছেন।

Sunday, June 19, 2016

"মায়ের সাথে বাবা দিবস"

     বাবা নেই!  আজ কতদিন হলো কিজানি? ইচ্ছে  করে মনে রাখিনা। মনে রেখেই আর কী হবে? বাবা তো আর আসবেননা। কারণ, ওখান থেকে নাকী কেউ  আর ফেরেনা। তবুকি বাবার পথ চাওয়া ভুলতে পেরেছি? না পারিনি। আনলাকি থার্টিন,  ১৩ ই জুন ২০১০, নীলরতনে বাবার শেষ নিশ্বাস  পড়ল। আমি তখন, কলকাতার রাজপথে ছুটে বেড়াচ্ছি রক্ত  আর রক্তের রিপোর্টের জন্য। দাদা ফোনে বললেন, চলে আই। আর রক্ত লাগবেনা। ভাবলাম যাক ভালো হলো। বাবা নিজে মরে আমাদের বাঁচালেন। কারণ, বাবার এত কষ্ট  আমরা দেখতে পারছিলামনা, আর বাবার জন্য লোকের কাছে এবার চাইতে যেতে হতো। কিন্ত,  লোকের কাছে আর চাইবো কতো? বাবা হইত সে কথা বুঝতে পারলেন, আর এলেননা! বাবা ছাড়া কিকরে যে বাবা দিবস পালন করবো সেটাই। এজন্মে আর হবেনা। আর কদিন পর আমি বাবা হবো সেদিন বাবা দিবসটা কেমন লাগবে সেটা আর বাবাকে আমার বলা হবেনা। তথাপি, যেদিন আমার ছেলে বা মেয়ে এসে বলবে- 'হ্যাপি ফাদার্স ডে' সেদিন হইত বাবা উপর থেকে দেখবেন। আজও হইত দেখছেন তাই,  মায়ের সাথে আমার বাবা দিবস পালন।