Saturday, August 13, 2016

দম্ভ হোক খান, খান।

স্থান : ঐ( আমেরিকা) !
কাল : ঐ(৩/৪ বছরের ব্যবধান)!
পাত্র : ঐ( শাহরুখ  খান)!
বাহানা : ঐ( নিরাপত্তা)!
শেষ বিবৃতি : ঐ( দুঃখ প্রকাশ  করছি,
আর হবেনা)
  আবার। এইনিয়ে ৩ বার বলিউডের বেতাজ বাদশা শাহরুখ  খানকে নিরাপত্তার নামে হেনস্থা করা হলো। এর আগেরবার তো স্ক্যানার গেটে পাশের সময় শাহরুখের নগ্ন ছবি আমেরিকার মহিলা রক্ষীরা একে অপরকে পাঠিয়ে উচ্ছাস প্রকাশ করেছে। প্রতিবারের মতো এবারও ঝড় উঠেছে। কোন কোন আতেঁল বলছেন ওটা ওদের দেশের প্রটোকল। দেশের নিরাপত্তার সার্থে ঠিক করেছে। আমি বলছি ওরা তৃতীয়  বিশ্বের মানুষদের সাথে বাড়াবাড়ি করছে। জর্জ ফার্নানডেজ তৎকালিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী  তাঁকে দুবার নগ্ন তল্লাশি করে! এই অল্পদিন  আগে ভারতীয় কূটনীতিক  দেবযানী  খোর্বাগারে কেও প্রায় নগ্ন তল্লাশি, মিসাইল  ম্যান এ পি জে আব্দুল কালামও বাদ জাননি! আরও অনেকে আছেন, তাই শাহরুখ  খান মুসলিম  হবার কারণে, যতটা হেনস্থা হন বলে মনেকরি তার চাইতে ভারতের নাগরিক হবার কারণে হেনস্থা হন বেশী। নইলে বাকীরা হেনস্থা হন কীভাবে? কিন্তু,  দুঃখের বিষয় হলো আজ পর্যন্ত  কোন ভারতীয় মন্ত্রী, আমলা বা কূটনীতিক এনিয়ে একটা কড়া প্রতিক্রিয়া  দিলেননা! আচ্ছা  আমাদের দেশের কী কোন প্রোটকল  নেই? আমাদের দেশে এসে তো তারা নূনতম মর্যাদা টুকুও দেননা। তাদের ঐশ্বর্য  আর বৈভবের কথা নাহয় নাই বললাম। মনমোহন  সিং  দূর্বল ছিলেন, যদিও তৎকালিন এ বিষয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া  দিয়েছিলেন শ্রীমতী  অম্বিকা শোনি। ভেবেছিলাম, এসব বিষয়ে সবল মন্ত্রী  হিসেবে শ্রী নরেন্দ্র মোদী বা তাঁর মন্ত্রীগণ যথাযোগ্য  ব্যবস্থা  নিবেন। কিন্তু,  নাহ হতাশ হলাম! তাই আমাদের দেশের নিরাপত্তার সার্থে তাদেরও একাইভাবে তল্লাসি চালানো হোক। কিন্তু,  দুঃখের বিষয় আমাদের দেশের সরকার আদিখ্যেতা করে দেশের প্রোটকল কে জামাই  আদরের বিধীতে পরিণত  করছেন।

Tuesday, August 9, 2016

Go মাতা।

গো বেচারা প্রাণী হয়েও গোরু থেকে একেবারে মাতার স্থান দখল করবে তা হইত গো মাতার পিতাও জানতোনা। যদিও বলা প্রয়োজন যে, গোমাতা সর্বত্রই বিরাজমান  হলেও গোপিতার কোন সুলুকসন্ধান এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। বা যারা সারা দেশ জুড়ে পশুমাতার জন্যে মানুষ মাতার সন্তানদের পশুর মতো পিটিয়ে গোমাতার স্বঘোষিত যোগ্য সন্তান হবার মরিয়া চেষ্টা  চালিয়ে যাচ্ছে গোপিতার ব্যাপারে তাদেরও কোন হেলদোল নেই।  এবার সেই স্বঘোষিত গোরক্ষকদেরই মাথায় একটা আলতোভাবে লাঠির বারি দিয়ে গলাতে দড়ি পরানোর বদলে কোমরে দড়ি পরানোর ব্যবস্থা  করতে বললেন আমাদের চৌকিদার বাবু। আর এতদিনে হঠাৎ করে দলিত ও সংখ্যালঘুদের জন্য তাঁর দরদ উথলে উঠলো এবং বললেন, "ওদের নয় দরকার হলে আমাকে গুলি করে মারুন"। কিন্তু, আমার প্রশ্ন  জাগছে উনার "৪২" ইন্চ ছাতিতে কে গুলি মেরে এখন ফাঁসিতে ঝুলবেন বলেন তো? উপরের এ কথা বলে তিনি দুটো কাজই করে ফেললেন, ১) ভোটের আগে দলিতদের বুঝিয়ে দিলেন পাশে আছি। উদ্দেশ্য, কয়েকটি রাজ্যে সামনে ভোট তাই,  তোমাদেরও পাশে চাই আর, ২) গোরক্ষকের নামে যারা মানুষ পেটাচ্ছেন তারা উনাকে মারুন তাও তোমাদের কিস্যু হবেনা। নইলে উনি খোদ নিজেকে মারতে বলবেন কেন? বরং  বলা ভালো ছিলো, পশুর নামে যারা মানুষ  মেরে পৈশাচিক আচরন করছো তাদের গরুর সব কাজ করিয়ে নেবো। গরু মরলে তখন দলিতরা আর গরু চালানের সময় সংখ্যা লঘু দেশ? কাজেই  দলিত ভাই বোনেরা কর্মবিরতি  ডেকে ঠিকই করেছেন যে, তারা রোগগ্রস্ত বা মরা গোরুর আর কোন কাজই তারা করবেননা। এখন দেখার স্বঘোষিত  গোরক্ষকরা করুক এসব কাজ কীকরে করে। আর মুসলিম দেশগুলো অন্তত  দু-এক বছর ভারতবর্ষ থেকে গোরু আমদানি  করা থেকে বিরত থাকুক। তাহলে জমবে খেলা,  ভারতবর্ষ  তখন আর একশো কোটি মানুষের দেশ না হয়ে হাজার কোটি গোরুর দেশ হিসেবে মর্যাদা পাবে। গোরুদের থাকার ব্যবস্থা  হবে আলয়ে আর আমরা পথেঘাটে  মনের সুখে চড়ে বেড়াব...

Monday, August 8, 2016

বন্ধু দিবস।

বন্ধু দিবস।
   সেই ছাত্রাবস্থা থেকে শুরু করে আজও আমার বন্ধুর অভাব  নেই। এ অল্প  বয়সে ছোট্ট  থেকে শুরু করে বড়ো এবং  অনেক বিশিষ্ট  বন্ধুর জনের সংস্পর্শে এসে আজ নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে হয়। তাছাড়া, সোশাল  মিডিয়ার দৌলতে কত পরিচিত, বা অপরিচিত বন্ধু বা বিশিষ্ট জনের সান্নিধ্য  পেয়ে সমৃদ্ধ  হচ্ছি। তারা বিপদে আপদে আমাকে অনেক সাহায্য  করেছেন, করছেন এবং  আগামীতেও করবেন আশাকরি।  এখন, মাঝেমধ্যেই আর্থিক  অনটনে ভুগি, দু একজন  বিশ্বাস  করেননা তাতে তাদের দোষ নেই। দোষ সব আমার ঘোড়া রোগের। তাই,  আমি কোন দুঃখ  করিনা। কারণ, কেউ না কেউ  আমার প্রকৃত  অবস্থাটা সত্যি বোঝে। তাই, যে যেমন ভাবে পারে পাশে থাকে। অনেক বন্ধু নিজের ক্ষতি করেও ঔষধের টাকাটা, রিপোর্টের টাকাটা, বা তার ব্যবসার টাকাটা দিয়ে দেই  বা আমি না পরিশোধ  করা পর্যন্ত  চাননা। আমার এক জুনিয়র  বন্ধু মাঝেমধ্যে  এ মাসের বড় খরচটা কীভাবে করলাম বা সামনে যে বড়ো খরচটা আছে সে বিষয়ে খোঁজ নেই  এবং, প্রয়োজনীয়  এটা সেটার ব্যবস্থাটা নিজে থেকেই করে দেই। আর নিত্যদিন, চায়ের দোকানে, রেস্তোরাতে বা কোন প্রগ্রামে গিয়ে তারা আগেভাগে  বিলটা পে করে। তাছাড়া  যারা সব সময় মানসিক  ভাবে পাশে থাকে তাদের আমি আজ এই বন্ধু দিবসে তাদের সকলকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।