Saturday, April 28, 2018

"গোদের উপর"

"গোদের উপর"

মোদী সরকার আসার পার দেশে গ্রাম দত্তক নেওয়ার (গাঁয়োকা গোদ লিয়া) হিড়িক পড়ে যায়। কিন্তু ঐ গোদ নেওয়া গ্রাম আজও গোদেই থেকে গেল। গোদ থেকে তারা আর নামলা না, নেমে দু পা হাঁটলোও না। তাই, মোদী সরকার এবার গোদের উপর আর বিষফোঁড়া না নিয়ে দিল্লীর "লাল কেল্লা" কে ডালমিয়া গ্রুপের গোদে উপর দিয়ে দিলেন। ভারতে ঐতিহাসিক স্থাপত্যকলারও বেসরকারিকরণ হলো! তাও ভালো, ভাগ্যিস এটাকে কোন দেবতার ঘর বলে দখল করেনি।

Sunday, April 22, 2018

শালা তোরা মানুষ না বিজেপি বে?

তখন নীরব মোদীকে নিয়ে দেশ তোলপাড় আরকি। আমাদের এক খুব কাছের বন্ধুকে 'মোদী' বলে ডেকে ফেলেছি। ব্যস আর যাবি কোথায়? বন্ধুবর রেগে এক্কেবারে খাপ্পা।  আমরাও বুঝতে পারিনি আসলে সে এতো রেগে যেতে পারে! তাকে এখন বুঝিয়ে বলতে হবে সে কার টাকা মেরে খেয়েছে। আমরা বললাম, এ্যাকচুয়েলি তোকে মজা করে বলেছি। আর তোকে নীরব মোদী উদ্দেশ্য করে বলিনি কথাটা। একথা শুনে বন্ধুর রাগ চড়েগেল সপ্তমে। কারণ, এবার সে নিশ্চিত তাকে আমরা ঢপেন্দ্র মোদী থুড়ি 'নরেন্দ্র মোদী'র সঙ্গে তুলনা করেছি। তাকে আর কিছুতেই বোঝানো যায়না। আমরা তাকে সেই অর্থেও বলিনি। তার একটি পোঁ আমাকে কেন মোদী বললি? আমরা বললাম- দেখ দেশে মোদী আসারপর আমাদের দেশে ও সমাজে কত বদল হয়েছে। সমাজ জীবনের কত উন্নতি। বিশেষ করে চাওয়ালাগুলোও নিজেকে কেউকেটা ভাবতে শুরু করেছে। কারণ, এতোদিন হতোকি এই পাঁচটা চা দিয়ে যা বলে আদেশ করা হতো। এবং শেষে পয়সা না মিটিয়েই থাকলো বলে চলে যেত। এখন তুই ভাবতো আমরা যে চায়ের দোকানে রোজ চা খাই তুই তাকে ঐ আগের মতো অর্ডার করে বলে পয়সা নিয়ে দিয়ে আসতে পারবি? বন্ধু কিছু বলেনা। রাগ পড়েছে ভেবে আমি আরও বলে চলি- এই যে বিদেশ-বিভুইয়ে আমাদের দেশের লোক গেলেই সব খুলে তল্লাশি করে। নরেন্দ্র মোদী এত্তো দেশ ঘুরছেন, কেউ কিছু বলার সাহস করেছে? দেখ তবে বিদেশেও কতো আমাদের সম্মান বেড়েছে। বন্ধু এতোক্ষণ সব চুপচাপ শুনে বললো- সালা তোরা মানুষ না বিজেপি বে? আমরা ভয়ে আর কোন কথা বলিনি।

Saturday, April 21, 2018

একদিন ফিরে এসে বলব।

একদিন ফিরে এসে বলবে।

একটা নতুন খবর পাচ্ছি, জন্মু ও কাশ্মীরের আট বছরের শিশুটির গণধর্ষণ তো দূরের কথা ধর্ষণই নাকি হয়নি। খবরটিই যেন সত্যি হয়। কারণ, ধর্ষণের  যে ভয়াবহ বর্ণনা শুনেছি তাতে এমন যেন কারো সাথে না ঘটে। কিন্তু, পরের রিপোর্টে শুনবো ঐ ছোট্ট মেয়েটির মৃত্যু স্বাভাবিক। ঈশ্বর এটাও যেন সত্যি হয়। নইলে, একটা ফুলের মতন নিষ্পাপ শিশু যেভাবে অকালে ঝড়ে গেল। তা যেন আর কারো সাথে না ঘটে। যাতে করে কিছু লোক মৃত্যু নিয়ে, ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করার সুযোগ না পায়। আর ঈশ্বর যদি এমন হয়, ঐ ছোট্ট মেয়েটি তার প্রিয় ঘোড়াটির পিঠে চড়ে একদিন ফিরে এসে বলে - "মা আমি ঘোড়া নিয়ে অনেক, অনেকদূর চলে গিয়েছিলাম। তোমাদের না দেখে খুব মনটা খারাপ করছিলো তাই আবার চলে এলাম। ঈশ্বর এই খবরটি শোনার প্রতীক্ষাতে রইলাম...

আর অনুরোধ রাখতে পারছিনা বন্ধু!

আর অনুরোধ রাখতে পারছিনা বন্ধু!

২০১০। হাতে আসে জিপিআরএস এনাবেল মোবাইল ফোন। তখনই ফেসবুকের সাথে দেখা। তার আগে সংবাদ পত্রে "ফেসবুক" শব্দটি নাম জানা। বলা যেতে পারে এটা তো আমারই জন্য। কেননা, যারা ছোট্ট বেলা থেকে কাছের ও দূরের, চেনা বা অচেনা জনের সঙ্গে চিঠিপত্র লেখে। তারপর মোবাইল যুগের সময় নিয়ম করে বন্ধুদের এসএমএস করে, ছোটবেলার বন্ধু-বান্ধবীদের খুঁজে, খুঁজে ফেরে ফেসবুক তো তাদের জন্যই।
নিজেই কেরামতি করে ফেসবুকে এ্যাকাউন্ট বানিয়ে ফেলা। তারপর বন্ধুদের খোঁজা
নাহ! হারিয়ে যাওয়া বা চেনা কোন বন্ধুর খোঁজ পাইনি তেমন। অতএব যারা আছেন তাদের সঙ্গেই যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা। অচেনা কে রিকোয়েস্ট, ভুল ভাল ছবি বা অশ্রাব্য মন্তব্য করে কতবার যে ব্লক হয়েছে আজ মনে নেই। তবে সারাদিন মোবাইল নিয়ে ঠুকুস ঠুকুস করে বন্ধুদের কত যে বিরাগ ভাজন হয়েছি তারও ইয়ত্তা নেই। যদিও পরে তারাই এখন জিজ্ঞেস করে দেখ তো বন্ধু ফেসবুকটা লগইন করতে পারছিনা।
তবে, দিন যতই গেছে ফেসবুকের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে গেছি, বা যাচ্ছি। কারণ, এখানে আমি আমার অনেক হারানো বন্ধু-বান্ধবী বা অচেনা সুজনের দেখা পেয়েছি। তাঁদের সংস্পর্শ, সাহচর্য আমাকে সমৃদ্ধ করেছে। আমাকে মানুষ হতে শেখাচ্ছে।

         বন্ধুরা আমি একাধারে আনন্দিত এবং দুঃখিতও। আনন্দিত একারণেই, আপনারা আমার এতো সব ভালো বন্ধু বলে। আমি আপনাদের সান্নিধ্য পেয়েছি বলে। আর দুঃখিত একারণে যে, নতুন করে পাঠানো কারো ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট আমি কনফার্ম করতে পারছিনা। কেননা, ফেসবুক জানাচ্ছে আমি ৫০০০ হাজারের নির্দিষ্ট সীমা শেষ করে ফেলেছি।  তাই নতুন করে আর কেউ রিকোয়েস্ট পাঠাবেননা। তবে, ফলো করতেই পারেন। ফলো করলেও আপনি আমার বন্ধুজন, সুজন। তাছাড়া, কাকেই বা বন্ধু তালিকা থেকে বাদ দিই বলুন? সবাই যে আমার বন্ধু। তবে, কিছু তো ছেঁটে ফেলা যায়। কিন্তু নাহ! এমন অনেকেই নিশ্চয় থাকবেন যাঁরা আমাকেই ছেঁটে ফেলবেন। বরং সেটাই করুন। আমি সবার বন্ধু হতে চাই। তবে, যাঁরা অনর্থক মেসেজ করেন, ফোন করেন বা আজেবাজে অডিও ভিডিও পাঠান তাদের বিশেষ অনুরোধ, খারাপ লাগে বা লাগতে পারে এমন কিছু পাঠাবেননা। নইলে উত্তর পাবেননা। কারণ, অনেকেই অভিযোগ করেন, আমি সাড়া দিইনা। বন্ধু আমি সবাইকে সাড়া দিই, দেবার চেষ্টা করিও। তবে, ভালো কিছু, কাজে লাগে এমন শেয়ার করলেই সাড়া পাবেন।  আমারও কিছু ভুল হলে বলবেন, ক্ষমা করবেন।

Friday, April 20, 2018

"শিশুর বাস যোগ্য..."

দেশে ধর্ষণ বাড়ল ৫০% থেকে ৬০%। তারমধ্যে শিশুধর্ষণের হারই ৪০%! ছেলেবেলাই পড়া কবিতা-

"বিশ্বকে এ-শিশুর বাসযোগ্য করে যাবো আমি— নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার"।

কবিতার কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য আজ বেঁচে থাকলে কি বলতেন জানিনা।  কিন্তু পৃথিবীকে শিশুর বাসযোগ্য করার হয়ত আর দরকার পড়বেনা। কারণ, যে হারে আমরা শিশুর জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছি তাতে, পৃথিবীতে আর শিশু থাকবে কিনা সন্দেহ। এবার আমার শহর জঙ্গীপুরও বাদ গেলনা। তেঘরীর আম বাগানে আম কুড়োতে যাওয়া এক ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করলো সেঞ্জারুল সেখ নামে এক পিশাচ। তবে, আশার কথা শিশুটি আতঙ্ক নিয়েও বেঁচে আছে। আমার ঘরেও দুটি ছোট্টছোট্ট মেয়ে রয়েছে। তাই খুব ভয় করছে। কোথায় পাঠাবো আর কাকেই বা বিশ্বাস করবো? তেমনি, আপনাদের বাড়ির শিশুগুলি আমার স্কুলে, বাড়িতে পড়তে আসে। আপনি ভাবেন, আপনার বাচ্চাটি আমার কাছে নিরাপদ কিনা! নিশ্চয় ভাবেন। বা ধর্ষিত ঐ ৫ বছরের শিশুটি যদি আমাকে পুরুষ দেখেই চেঁচাতে শুরু করে, তবে এর চাইতে লজ্জাকর আর কিছু আছে?

Wednesday, April 18, 2018

ক্যাশলেস ইন্ডিয়া

"ক্যাশলেস ইন্ডিয়া"

প্রথমে নোট নন্দি, এবার নোটই গায়েব। উনি বলেছিলেন, মাত্র ৫০ দিন। কিন্তু এখনো দেশে টাকা মিলছেনা! আসলে উনি হয়ত ৪ বছর ১০ মাস এবং ৫০ দিন চেয়েছিলেন। যেটা আমরা বুঝতে পারিনি। গ্রামের উন্নয়ন রাস্তাতে দাঁড়িয়ে আর দেশের উন্নয়ন রাস্তা ছাড়িয়ে বিদেশে পাড়ি দিয়েছে। মিঁত্রো দেশ বদল রাহাহে ইয়া নেহি?
ইন্ডিয়া ক্যাশলেস হুয়া ইয়া নেহি?

Tuesday, April 17, 2018

শম্ভুলালের শিষ্য!

"শম্ভু লালের শিশ্য"
আপনার মোবাইলের ওয়ালপেপারে আপনি নিশ্চয় আপনার প্রিয় নায়ক - নায়িকা, ক্রিকেটার, দেশনায়ক, পশুপাখি বা নৈসর্গিক দৃশ্য রাখেন। কখনো নিজের, প্রিয়জনের বা প্রেয়সীর। কিন্তু অবাক হবার শেষ নেই, কিছু ছেলে মোবাইল ওয়ালপেপারে সেই "কুখ্যাত শম্ভুলাল সিং রেগর" (পড়ুন টেররিষ্ট) -এর ছবি রাখে। এবং সগৌরবে বলে সেই জঙ্গী নাকি তার গুরু! ভাবুন একবার। তারা আবার আমার বা আপনার এলাকাতেই বাস করে। আমাদের আশপাশেই ঘুরে বেড়ায়। এদের থেকে সাবধান থাকবেন। নইলে এরাও যেকোন দিন, যেকোন সময় মানুষ খুন করতে পারে।

Sunday, April 15, 2018

"হালখাতা"

 হালখাতা


দিনশেষে ব্যাজার মুখে বসে পটলদা। এবেলাটা নতুন আর পুরাতন খদ্দের নিয়ে পারকরে দিলেও ভেবেছিলেন ওবেলাটা ভালোই হবে। কারণ, বিকেলবেলাটা মিঠিপুর পুরাতন হাটের কদর ভালোই। কিন্তু নাহ! পটলদা মিষ্টির প্যাকেট আর নতুন খাতা নিয়ে বসে থাকলেও পুরনো খদ্দেররা আসেনি। হালখাতার হাল কী(?) জিজ্ঞেস করতেই বলে ফেললেন- মিষ্টির টাকাটায় উঠলনা।

Saturday, April 14, 2018

"তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সূচনা"

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা
দীর্ঘ ৭ বছর যাবত সিরিয়াতে ঘটে চলা গৃহ যুদ্ধে নানা বিভৎস ঘটনার সাক্ষী তামাম বিশ্ব। সম্প্রতি কথিত রাসায়নিক গ্যাস প্রয়োগ এবং ফলস্বরূপ ৭৫ জনের হৃদয় বিদারক মৃত্যু! তারমধ্যে অধিকাংশ শিশু। গোটা দুনিয়া চাক্ষুষ করেছে সে নির্মম দৃশ্য। নিন্দা ও সমালোচনার ঝড় বিশ্বজুড়ে। ফলে নড়েচড়ে বসেছে শক্তিধর দেশগুলো। মার্কিনযুক্ত রাষ্ট্র, ব্রিটেন, রাশিয়া এবং ফ্রান্স সহ অন্যান্য দেশগুলি। ইতিমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার সহযোগী দেশ ব্রিটেন ও ফ্রান্স সিরিয়াতে হামলা শুরু করেছে। রাশিয়াও বলেছে তারাও চুপ করে বসে থাকবেনা। চুপ করে বসে না থাকার আসল উদ্দেশ্যটা কিন্তু পরিষ্কার করে বলেনি। পরিষ্কার করে না বললেও ধরে নেওয়া যায় তারাও শীর্ঘ্রই হামলা শুরু করবে। কিন্তু কাকে? আমেরিকা কে নাকি তার সহযোগী দেশগুলিকে? হামলা তারাও যে সিরিয়াতে করবে এটা পরিষ্কার। ফল কি হলো- আমেরিকা ও তার সহযোগী দেশ অন্যায় কে সায়েস্তা করতে সিরিয়াকে হালমা করবে। রাশিয়া ও তার সহযায়ী দেশও অন্যায় কে জব্দ করতে ঐ সিরিয়া হামলা করবে। আর আসাদ তো অন্যায়কারীদের প্রস্রয় নাদিতে সেউ নিজভূমি সিরিয়া হালমা করছে। এই তিন আক্রমণে মরছে বা মরবে কে? সাধারণ মানুষ। অথচ, আজ পর্যন্ত এটি কেউ ধরতে পারলোনা কথিত রাসায়নিক হামলাটা আসলে কারা করলো? আমেরিকা বলে, আসাদ, আসাদ  তা অস্বীকার করে। তাছাড়া আমেরিকার প্রবল সন্দেহ এটা রাশিয়া, মার্কিন বিরোধী জঙ্গীগোষ্ঠী দ্বারা একাজ সংঘটিত করেছে। রাশিয়ার দাবী আমেরিকা সিরিয়া অভিযান চালানোর নয়া ফন্দি এঁটেছে। কিন্তু প্রশ্ন এ উন্নত বিশ্বে আজও কি অনুমান করে একটা যুদ্ধ শুরু হবে? ওরা এটা জানতে পারলোনা এ ঘৃণ্য কাজের আসল জনক কে? জানে সকলেই। কিন্তু অনুমান না করলে যুদ্ধ করা যে দাই। তাই, সিরিয়াতে কে রাসায়নিক গ্যাস প্রয়োগ করলো প্রমাণ না করেই সিরিয়া রাসায়নিক অস্ত্র মজুত করেছে এটা অনুমান করে নিলে হামলা করা সহজ। এবং আফগানিস্তান, ইরাক, লেবাননের মতো গোটা দেশকে ধ্বংস করে দিয়ে শেষে কিছু না মিললে, সরি বললেই সাত খুন মাফ। তানাহলে সিরিয়াতে কটা জঙ্গীকে খুঁজে মারতে দুনিয়ার এতো উন্নত দেশগুলোর গোটা দেশ কে কেন ধ্বংস করতে হবে? মজা তো সেখানেই। কে সবচাইতে শক্তিধর আমেরিকা নাকি রাশিয়া? এটা প্রমাণ হবে কী করে। অতএব এটা করতে একটা দেশকে যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে বেছে নিতেই হবে। এবং সেটা নিশ্চয় হবে কোন মুসলিম দেশ। কাজেই আফগানিস্তান, ইরাকের পর সিরিয়া সেই দেশ। যাকে ধ্বংস করো। আমেরিকা আর রাশিয়ার মধ্যে ক্রমশ বেড়ে চলা রাজনৈতিক চাপানউতোরের মাঝে সিরিয়ার উলুখাগড়ার প্রাণ যাবে। আচ্ছা কে বেশী শক্তি শালি এটা প্রমাণ করতে আপনারা নিজের দেশে যুদ্ধ করুন না। না তা করবেননা জানি। আসলে আমেরিকা আর রাশিয়া তারা আগেভাগেই সেটিং করে রেখেছে। আমরা যুদ্ধ, যুদ্ধ খেলা খেলবো কিন্তু অন্য দেশে। মরলে, ধ্বংস হলে তারা মরুক, ধ্বংস হোক। আমরা নয়।

আজ আমি ১ লা"

"আজ আমি ১ লা"

       আজ থেকে ১৪২৪ বছর আগে আমার পথ চলা। বাঙালির ১২ মাসে আমি ১৩ পার্বণে ছিলাম। আহা! বড়োই কদর ছিলো আমার। বেণীমাধব শীলের ফুল পঞ্জিকা ঘরে ঘরে হাতে নিয়ে দিনক্ষণ, কালভদ্র, নাড়ীনক্ষত্র দেখে দিন চলা। ধুতীপাঞ্জাবীতে বঙ্গপুরুষ ও বঙ্গ ললনা শাড়ীতে, আমাকে ঘিরে বর্ষবরণ উৎসবে মেতেছে। মোতিচুরের নাড়ু, রসগোল্লাতে মুখ মিষ্টি পাড়া জুড়ে। ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি, নতুন করে শুরু 'হালখাতা' দিয়ে। সেদিন গিয়েছে, ইংরেজি বিদ্যায় অভ্যস্ত সব। তাই, ঘরের ছেলেরা আমাকে আর চেনেনা। দরকারও পড়েনা। গ্রাম বাংলার মা-মাসিদের মুখে, মুখে ফিরি। আর বাড়তি দুটো দিন পাওনা। ঐ ২৫'শে বৈশাখ আর ২২'শে শ্রাবণ। তাও ভাগ্যিস রবি ঠাকুর জন্মেছিলেন এই বঙ্গে! নইলে, হালখাতাতেই আঁটকে যেতাম আমি। তাই, আজ আমি হয়ে পড়ছি বড়োই ১'লা!

Friday, April 13, 2018

মা আশিফা, তুই বেঁচে গেছিস!

মা আশিফা, তুই বেঁচে গেছিস!

আচ্ছা ৬ মাসের শিশু, ৮ বছরের শিশু দেখেও এদের লাল ঝরে? কি করে সম্ভব? এরা কান্ট্রি গঙ্গাজল আর খায়না মনে হয়। এরা এখন জাপানি তেল খেয়ে থাকে। ফলে ৮ থেকে ৮০ যাকে পায় তাকে দেখলেই এদের ঝরতে শুরু করে। এরা সুযোগ ও সময় পেলে আড়ালে আবডালে নিজের শিশুটিকে নিশ্চয় ছাড়েনা। নইলে আশিফা বানুদের  দেখে ওর ঘরের বাচ্চাটিকে মনে পরার কথা। আশিফা বানুদের প্যান্টটা খোলার সময় ওর তো চোখ অন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা।
মা আশিফা বানু তুই মরিসনি মা,  তুই মা বেঁচে গেছিস। কারণ,  এ দেশ তোর জন্য নয়। এ দেশ জালিমদের পাপিদের। তাই, এ পাপ দেখার জন্য, পাপ ভোগ করার জন্য আমরা পাপিরা থাকলাম। তুই শান্তির দেশে চলে যা মা, ভালো থাকবি। আর আমাদের ঘরে যে আশিফা বানুরা থাকলো তাদের জন্য তুই দোয়া করিস, নইলে আবার কোন জালিম তাদের ছিঁড়ে খাবে। মা, তুই আমাদের ক্ষমা করিস মা...