Saturday, April 14, 2018

"তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সূচনা"

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা
দীর্ঘ ৭ বছর যাবত সিরিয়াতে ঘটে চলা গৃহ যুদ্ধে নানা বিভৎস ঘটনার সাক্ষী তামাম বিশ্ব। সম্প্রতি কথিত রাসায়নিক গ্যাস প্রয়োগ এবং ফলস্বরূপ ৭৫ জনের হৃদয় বিদারক মৃত্যু! তারমধ্যে অধিকাংশ শিশু। গোটা দুনিয়া চাক্ষুষ করেছে সে নির্মম দৃশ্য। নিন্দা ও সমালোচনার ঝড় বিশ্বজুড়ে। ফলে নড়েচড়ে বসেছে শক্তিধর দেশগুলো। মার্কিনযুক্ত রাষ্ট্র, ব্রিটেন, রাশিয়া এবং ফ্রান্স সহ অন্যান্য দেশগুলি। ইতিমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার সহযোগী দেশ ব্রিটেন ও ফ্রান্স সিরিয়াতে হামলা শুরু করেছে। রাশিয়াও বলেছে তারাও চুপ করে বসে থাকবেনা। চুপ করে বসে না থাকার আসল উদ্দেশ্যটা কিন্তু পরিষ্কার করে বলেনি। পরিষ্কার করে না বললেও ধরে নেওয়া যায় তারাও শীর্ঘ্রই হামলা শুরু করবে। কিন্তু কাকে? আমেরিকা কে নাকি তার সহযোগী দেশগুলিকে? হামলা তারাও যে সিরিয়াতে করবে এটা পরিষ্কার। ফল কি হলো- আমেরিকা ও তার সহযোগী দেশ অন্যায় কে সায়েস্তা করতে সিরিয়াকে হালমা করবে। রাশিয়া ও তার সহযায়ী দেশও অন্যায় কে জব্দ করতে ঐ সিরিয়া হামলা করবে। আর আসাদ তো অন্যায়কারীদের প্রস্রয় নাদিতে সেউ নিজভূমি সিরিয়া হালমা করছে। এই তিন আক্রমণে মরছে বা মরবে কে? সাধারণ মানুষ। অথচ, আজ পর্যন্ত এটি কেউ ধরতে পারলোনা কথিত রাসায়নিক হামলাটা আসলে কারা করলো? আমেরিকা বলে, আসাদ, আসাদ  তা অস্বীকার করে। তাছাড়া আমেরিকার প্রবল সন্দেহ এটা রাশিয়া, মার্কিন বিরোধী জঙ্গীগোষ্ঠী দ্বারা একাজ সংঘটিত করেছে। রাশিয়ার দাবী আমেরিকা সিরিয়া অভিযান চালানোর নয়া ফন্দি এঁটেছে। কিন্তু প্রশ্ন এ উন্নত বিশ্বে আজও কি অনুমান করে একটা যুদ্ধ শুরু হবে? ওরা এটা জানতে পারলোনা এ ঘৃণ্য কাজের আসল জনক কে? জানে সকলেই। কিন্তু অনুমান না করলে যুদ্ধ করা যে দাই। তাই, সিরিয়াতে কে রাসায়নিক গ্যাস প্রয়োগ করলো প্রমাণ না করেই সিরিয়া রাসায়নিক অস্ত্র মজুত করেছে এটা অনুমান করে নিলে হামলা করা সহজ। এবং আফগানিস্তান, ইরাক, লেবাননের মতো গোটা দেশকে ধ্বংস করে দিয়ে শেষে কিছু না মিললে, সরি বললেই সাত খুন মাফ। তানাহলে সিরিয়াতে কটা জঙ্গীকে খুঁজে মারতে দুনিয়ার এতো উন্নত দেশগুলোর গোটা দেশ কে কেন ধ্বংস করতে হবে? মজা তো সেখানেই। কে সবচাইতে শক্তিধর আমেরিকা নাকি রাশিয়া? এটা প্রমাণ হবে কী করে। অতএব এটা করতে একটা দেশকে যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে বেছে নিতেই হবে। এবং সেটা নিশ্চয় হবে কোন মুসলিম দেশ। কাজেই আফগানিস্তান, ইরাকের পর সিরিয়া সেই দেশ। যাকে ধ্বংস করো। আমেরিকা আর রাশিয়ার মধ্যে ক্রমশ বেড়ে চলা রাজনৈতিক চাপানউতোরের মাঝে সিরিয়ার উলুখাগড়ার প্রাণ যাবে। আচ্ছা কে বেশী শক্তি শালি এটা প্রমাণ করতে আপনারা নিজের দেশে যুদ্ধ করুন না। না তা করবেননা জানি। আসলে আমেরিকা আর রাশিয়া তারা আগেভাগেই সেটিং করে রেখেছে। আমরা যুদ্ধ, যুদ্ধ খেলা খেলবো কিন্তু অন্য দেশে। মরলে, ধ্বংস হলে তারা মরুক, ধ্বংস হোক। আমরা নয়।

No comments:

Post a Comment