উনি তখন প্রধানমন্ত্রী পদ প্রার্থী। প্রচারে প্রচারে কানাগলি থেকে রাজপথ আর মাঠে ময়দানে স্বপ্ন ফেরিকরে ঝড় তুলছেন। আর একেরপর এক বাক্য মিশাইল আছড়ে ফেলছেন সীমান্তের ওপারে, " ভাইয়ো ওর বহেনো আগার হামারা ১ সিপাহীকা শির কাটেগা তো হাম ১০ শির কাটেঙ্গে।" কিন্তু, না উনি সরকারে এসে দশটা মাথা তো দূরের কথা একটারও মাথার চুলও স্পর্শ করতে পারলেননা। এমনকি পাকিস্তান ও চীন সম্পর্কে তিনি কোন স্পষ্ট নীতিও প্রকাশ করলেননা। কারণ, পাকিস্তানের চাইতে নাকী চীন বড়ো শত্রু। কিন্তু, তিনি সৌহার্দ্য দেখিয়ে পাকিস্তানে গিয়ে বিনা আমন্ত্রণে পাক প্রধানমন্ত্রীর নাতনীর বিয়ের ভোজ খেয়ে এলেন। কিন্তু, উনার বোঝা উচিৎ ছিলো লাতোকে কুত্তে বাতোমে নেহি শিখেগা। আর উনার এক দোসর প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পারিক্কর সাহেব বললেন, "পাকিস্তান যাওয়া মানে জাহান্নমে যাওয়া" অর্থাৎ, মোদী প্রথম ব্যক্তি যিনি কীনা জীবন্ত অবস্থাতে নরকে গিয়ে ভোজ খেয়ে আবার মর্ত্যে এসেছেন! সম্প্রতি 'উরি সেনা ছাউনি' তে একেবারে 'পাক্কা নিশানা' 'পাক্কা হামলা' এবং এই নিয়ে চারবার। উনি কিছু বলছেননা। আমার কিন্তু, গৃহকর্তার ঘরে চোর ঢোকা গল্পটার মতো লাগছে। চোর ঢুকছে, আমি কিছু বলছিনা। চোর, আমার সব চুরি করছে তবু কিছু বলছিনা, চোর সব নিয়ে চলেগেল তথাপি কিছু বললামনা। তো উনি আর কবে দশটা করে মাথা কাটা শুরু করবেন? মশাই এখুনি শুরু করুন। নইলে আপনার পাঁচ বছর মেয়াদ হতে আর বেশী বাকী নেই। আপনার মাথা কাটার দায়িত্ব কী আপনি রাহুল গান্ধীকে দিয়ে যেতে চান নাকী? কারণ, রাহুল আজ থেকেই বলতে শুরু করেছেন "আগার সত্তা মে আয়ে তো ভ্রষ্টাচারীয়োকো নেহি ছরুঙ্গা।" আর আপনার গোয়েন্দা বিভাগ, সিপাহিরা কী করছে??? সীমান্তের ওপার থেকে এসে গুলী করে চলে যাচ্ছে আর ওরা কী 'জিও' সিমের মুফৎ ইন্টারনেটের সুবিধা নিচ্ছে?
Wednesday, September 21, 2016
'পা-কা-কা নিশানা'
উনি তখন প্রধানমন্ত্রী পদ প্রার্থী। প্রচারে প্রচারে কানাগলি থেকে রাজপথ আর মাঠে ময়দানে স্বপ্ন ফেরিকরে ঝড় তুলছেন। আর একেরপর এক বাক্য মিশাইল আছড়ে ফেলছেন সীমান্তের ওপারে, " ভাইয়ো ওর বহেনো আগার হামারা ১ সিপাহীকা শির কাটেগা তো হাম ১০ শির কাটেঙ্গে।" কিন্তু, না উনি সরকারে এসে দশটা মাথা তো দূরের কথা একটারও মাথার চুলও স্পর্শ করতে পারলেননা। এমনকি পাকিস্তান ও চীন সম্পর্কে তিনি কোন স্পষ্ট নীতিও প্রকাশ করলেননা। কারণ, পাকিস্তানের চাইতে নাকী চীন বড়ো শত্রু। কিন্তু, তিনি সৌহার্দ্য দেখিয়ে পাকিস্তানে গিয়ে বিনা আমন্ত্রণে পাক প্রধানমন্ত্রীর নাতনীর বিয়ের ভোজ খেয়ে এলেন। কিন্তু, উনার বোঝা উচিৎ ছিলো লাতোকে কুত্তে বাতোমে নেহি শিখেগা। আর উনার এক দোসর প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পারিক্কর সাহেব বললেন, "পাকিস্তান যাওয়া মানে জাহান্নমে যাওয়া" অর্থাৎ, মোদী প্রথম ব্যক্তি যিনি কীনা জীবন্ত অবস্থাতে নরকে গিয়ে ভোজ খেয়ে আবার মর্ত্যে এসেছেন! সম্প্রতি 'উরি সেনা ছাউনি' তে একেবারে 'পাক্কা নিশানা' 'পাক্কা হামলা' এবং এই নিয়ে চারবার। উনি কিছু বলছেননা। আমার কিন্তু, গৃহকর্তার ঘরে চোর ঢোকা গল্পটার মতো লাগছে। চোর ঢুকছে, আমি কিছু বলছিনা। চোর, আমার সব চুরি করছে তবু কিছু বলছিনা, চোর সব নিয়ে চলেগেল তথাপি কিছু বললামনা। তো উনি আর কবে দশটা করে মাথা কাটা শুরু করবেন? মশাই এখুনি শুরু করুন। নইলে আপনার পাঁচ বছর মেয়াদ হতে আর বেশী বাকী নেই। আপনার মাথা কাটার দায়িত্ব কী আপনি রাহুল গান্ধীকে দিয়ে যেতে চান নাকী? কারণ, রাহুল আজ থেকেই বলতে শুরু করেছেন "আগার সত্তা মে আয়ে তো ভ্রষ্টাচারীয়োকো নেহি ছরুঙ্গা।" আর আপনার গোয়েন্দা বিভাগ, সিপাহিরা কী করছে??? সীমান্তের ওপার থেকে এসে গুলী করে চলে যাচ্ছে আর ওরা কী 'জিও' সিমের মুফৎ ইন্টারনেটের সুবিধা নিচ্ছে?
Monday, September 19, 2016
জঙ্গীপুর সদর হাসপাতাল
এটা 'জঙ্গীপুর সদর হাসপাতাল' - এর ( আবার সুপার স্পেশালিটিও বটে) আপৎকালীন বিভাগের সামনের দিক। যাঁরা রুগীর চিকিৎসা বা আপৎকালীন কাজে এই হাসপাতালে যান তাঁরা নিশ্চয় দেখে থাকবেন বা যাঁরা দেখেননি তাঁরা এলেই দেখার সৌভাগ্য অর্জন করতে পারবেন যত্রতত্র নোংরা আর আবর্জনার স্তুপ, অসংখ্য উৎকন্ঠী মানুষজনে থিকথিক করছে গোটা হাসপাতাল চত্তর। সাথে, আপনার দুর্ভাগ্য হলে এটারও সাক্ষী হবেন কিছু চোরছ্যাঁচড় য়ারা কিনা, জরুরীকাজে নিয়ে আসা আপনার সাইকেলটা বা মোটর সাইকেলটা নিয়ে উধাও। এবার আপনি রুগী সামলাবেন না গাড়ী? আর হরেক রকমওয়ারি বিক্রেতা। চা, কফি, বিস্কুট, চানা, মুড়ি, ঘুগনী, ডিম, শঁশা, আঁখের রস, তেলেভাজা এগুলো সব নিষিদ্ধ প্লাস্টিকের পাত্রে। মানুষেরও কোন আপত্তি নেই বিক্রিতাদেরও বয়েইগেছে। সঙ্গে, বিড়ি, সিগারেট, গুঠকা, পান, খৈনী আরো কতকী! আর শুয়োরের বাথান আর শুয়োরের বাচ্চাদের শুয়োরতোমী তো আছেই। লক্ষ করলে আরও একটা জিনিষ দেখতে পাবেন, সাপুরিয়া সাপ খেলা দেখাচ্ছেন, অষ্টধাতুর বিক্রিতা বা কবিরাজ মশাই তার গাছগাছড়ার পসার নিয়ে বসেছেন। দাবী সব রোগের সমস্যার সমাধান। কিছু মানুষ পকেট থেকে টাকা বারকরে কিনছেনও অবলিলায়। এবার ভাবুন, সদর হাসপাতালের সামনে ধূমপান বিক্রেতা, ওঝা, কবিরাজ ব্যাবসা ফেঁদে বসে আছেন আর আমরা বা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দেখেও দেখিনা! আমরা শিখবো কবে??? (ছবিঃ সহেল তানবীর)
Monday, September 5, 2016
আমার স্যারদের শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
শিক্ষা ও শিক্ষক নিয়ে কথা বললে ছোট মুখে একটু বড়োকথা বলা হয়েযাবে হইত। কারণ, ছাত্র হিসেবে আমি মোটেও কোনদিন মেধা ছিলামনা। তবুও প্রথম হতাম স্কুলে। তামাশা করে তাই অনেকে বলতেন, গাধাদের মধ্যে প্রথম বা গিরিয়া জুনিয়র হাই স্কুলে আবার লেখাপড়া হয়নাকী। কথাটা বহুলাংশে সত্য। কারণও ছিল বহু। পদ্মায় তলিয়ে যাওয়া একটা স্কুল এসে জুনিয়র হাই স্কুল হয়েছে। হাতেগোনা যায় তার ছাত্র আর মাষ্টার মশাইদের। এখন তো জুনিয়র থেকে এক্কেবারে উচ্চবিদ্যালয়। ছাত্রছাত্রীতে থৈথৈ করে। পাশে দিয়ে হাঁটলে বিশাল স্কুলটার দিকে তাকিয়ে বিস্ময় লাগে! আমার স্যারেদের মনেপরে। ফিরে যায় সেই স্কুল জীবনে, স্যারেদের আদর, ভালোবাসা সাথে চোখ রাঙানী। বেশী মনেপরে প্রধান শিক্ষক মহাশয় রইশুদ্দীন আহমেদ সাহেবের কথা, একদিন প্রার্থনা শেষে উনি বিশেষ কাজে ছেলেদের বলছেন "কয়েকটা বুদ্ধিমান ছেলে আয় তো"। কোনো ছেলে আর এগোয়না। এদেখে স্যার বিস্মিত হলেন। তখন অন্য স্যার ব্যাপারটা ধরিয়ে দিলেন যে, নিজে থেকে আর কে বুদ্ধিমান সাজতে যাবে। তাই বিরক্ত হয়ে বললেন, "ওরে গাধাগুলো আয়, গাধাগুলো"। এ ব্যাপারটাই আমরা এতো মজা পেয়েছিলাম যে হো হো হাসির একটা রোল ওঠে। এরম শিক্ষকদের কত স্মৃতি আজ মাথায় ভির করছে। তাঁদের কাছ থেকে পাওয়া শিক্ষা, আদর্শ তাছাড়া, এখনও অনেক শিক্ষক গুরুজনদের সান্নিধ্য পেয়ে সমৃদ্ধ হচ্ছি। তাঁদের সকলকে আমি আমার বিনম্র শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। কিন্তু, এখন ঐ স্কুলের পাশ দিয়ে মাথাটা নিচু করে হাঁটতে হয়। কারণ, অনেক চেনা শিক্ষক আছেন। আবার এখন, বেশীরভাগ অচেনা। তাঁরা যখন জিজ্ঞেস করেন কী করছো? তখন এ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারিনা। কারণ, নার্সারি স্কুল বা বেসরকারি স্কুলে পড়িয়ে আর নিজেকে শিক্ষক দাবিকরা যায়না! এমনিতেই নার্সারি শিক্ষকদের ৫০০/- টাকার মাষ্টার আর একটু উঁচু বা দামী বেসরকারি স্কুলের শিক্ষকদের অপরনাম হাফ মাষ্টার। তো আমি ৫০০/- টাকার মাষ্টার থেকে হাফ মাষ্টার হয়েছি। কিন্তু, হাফ থেকে ফুল মাষ্টার হবার যোগ্যতা যে আমার নেই তা শিক্ষক নিয়োগের যোগ্যতা নির্ণায়ক কয়েকটা পরিক্ষায় প্রমাণ করেদিয়েছে। আর এখন তো নাকী আমরা অযোগ্য। যাক তারজন্য আর অনুশোচনা হয়না। এই কারণে, ক্লাসের ছোট্টছোট্ট ছেলেমেয়েরা যখন বলে এটা আমাদের সবচেয়ে ভালো স্যার তখন, বা চলতি পথে এখান সেখানে শত শত ছাত্রছাত্রীর 'স্যার' কেমন আছেন শুনলেই ভালো লাগে। তাছাড়া, হঠাৎ করে কোন ছেলে সাইকেল থেকে নেমে বলে স্যার চিনতে পারছেন? বলি তুমি কি করছো এখন? প্রতিত্তরে জানাই স্যার আমি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি তখন, গর্বে বুকটা ফুলে ওঠে।