Monday, January 30, 2017

মৃত্যু সংবাদ

মৃত্যুর রকমফের।
   মৃত্যুর রকমফের নিয়ে লিখতে বসে ভয়ে মরছি। কারণ, মৃত্যু যে কখন এসে হানা দেবে কে জানে? সেই কবে পড়েছি ভীরুরা মরার আগেই অনেকবার মরে যায়। যদিও আমার সহধর্মিণী মোটেও ভীরু নয় তথাপি সে এখন কথায় কথায় বলে, আহ 'মরণ'। আমি ততক্ষণাৎ মনে মনে বলি, তোমার মনোবাঞ্ছা পূর্ণা হউক। যাক ঘরের কথাকে বাইরে নাএনে ওকে সিনট্যাক্স দরজাদি। কারণ, আন্দারকি বাত আন্দর মে রহে তো আচ্ছা। তাই প্রথমে নেতাদের মৃত্যু সংবাদ দিয়ে শুরুকরি কারণ, তাঁদের উপর সাধারণ মানুষের রাগ এখন বেশী। যদিও জন দরদী নেতা এখনো আছেন তাই,  কোন এই ধরণের নেতা মারারা যান, তবে বলা হয় 'জীবনাবসান' হলো। আর কেউ দুর্ঘটনাজনিত কারণে বা ভিরে চাপা পরে মরে তাহলে হাসপাতাল 'মৃত' বলে ঘোষণা করে। আর ম্যালেরিয়াতে মরলে 'মৃত্যু'। দীর্ঘ রোগভোগের পর মরলে তো বলা হয় বাঁচলো! মানে, পরিবারের লোক আর ভুক্তভোগী দুজনেই এ ঝামেলা থেকে মুক্ত হলেন। জঙ্গী বা আঁততায়ীর গুলীতে মরলে 'নিহত' হলেন। আর দেশের জন্য প্রাণ দিলে কিন্তু আপনি শহীদ। যদিও বর্তমানে এই 'শহীদ' শব্দটির রাজনৈতীক বোমাবর্ষণ ও গোলাগুলিতে মৃত্যু হয়েছে। যেখানে, একজন কবির মৃত্যুকে বলা হয়, এই প্রথিতযশা কবি 'এই সংসারের মায়া ত্যাগ করেছেন' বা 'শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন'। তাছাড়া, আরও এক ধরনের মৃত্যু আছে যেমন, ছেলে-মেয়েরা বাড়িতে স্কুল, কলেজ বা হোষ্টেলের ফিষ্টে যাবার নামকরে দিব্যি  প্রেমিক বা প্রেমিকা নিয়ে ঘুরতে গেছে। বাড়ি ফিরতেই বাবা-মা দিলেন উত্তমমধ্যম আর ব্যস যায় কোথায়? কোথায় আর যাবে, সোজা সিলিং ফ্যানে ছুলছে, তবে সেটা হলো 'গলাই দড়ি'। আবার একই কাজ যদি পাড়ার বিত্তবান লোক বা মহিলা করেন তবে, সেটাই হয়ে যাবে 'আত্মহত্যা'। আর আমার মতো যারা হতভাগা বেঁচে থেকেও কবে মরে গেছে তাদের যে কী বলে সেটা আপনারাই বলুন? তবে, সুভাষ চন্দ্র বসু মরেও আমাদের মনে অনন্তকাল 'বেঁচে' থাকবেন এটা হলপ করে বলতে পারি। আর, ধরুন আজ রাতেই আমি মারা গেলাম কাল সকালে আমার পাড়াতে এলে শুনতে পাবেন 'মরা মরেছে'।

Friday, January 27, 2017

সবুজ ডাইরি

সবুজ ডাইরি

             শ্রী চিত্তরঞ্জন মাহাত, শিক্ষক জার্গো হাই স্কুল, এম এল এ এবং তৎকালীন বাম সরকারের ত্রাণ ও খাদ্যমন্ত্রী। বাবা দীর্ঘ ২৫ বছরেরও বেশী তাঁর বাড়ি ও জেলা পুরুলিয়াতে কনস্ট্রাকশনের কাজ করতেন। মেজদা প্রাইমারি স্কুলের গণ্ডি পাড়করে বাবার সাথে চললেন, পড়া ও কাজ দুটোই করতে। কিন্তু, বাবার বদান্যতায় খুউব অল্পদিনেই দাদা হয়ে উঠলেন শিক্ষক - মন্ত্রীর প্রিয়পাত্র। সেই সুযোগে মন্ত্রীর ঘরে দাদার অবাধ প্রবেশ। এবং মন্ত্রীর সাহচর্য দাদার জীবনে বড়ো প্রভাব ফেলে। দাদা রাজমিস্ত্রি কাজ ছেড়ে এখন ইংরেজি বিষয়ের গৃহ শিক্ষকতা করেন। সেই সময় দাদা দেশের বাড়িতে ফিরলে আমাদের জন্য নতুন নতুন খেলনা, জিনিসপত্র আর গল্প নিয়ে আসতেন।  তারমধ্যে, পুরুলিয়ার লালমাটি, পাহাড়, সাপ, চোর, প্রহরী ও শিক্ষক-মন্ত্রীর হাজারও মহানতার কথা। একবার দাদা নানা জিনিসের সাথে ১৯৫৩ সালের একটা পুরনো ডাইরি নিয়ে আসেন। এবং সেই ডাইরি মন্ত্রীর নিজহস্তে লেখা। আমি সেই ডাইরির প্রতিটি পাতা পড়ে বিভোর হয়ে যেতাম! তখন আমি স্কুলে সিক্স কী সেভেনে হবো। ডাইরি লেখা শুরু করলাম নিয়ম করে। মাঝে জীবনের নানান চড়াই উৎরায়ে ভাটা পরে। তবে, মনের ডাইরি লেখা চলতে থাকে। তাই, ইন্টারনেটে প্রবেশ ঘটলে www.sabujdiary.blogspot.com লেখা শুরু করি।
      সম্প্রতি এক ফেসবুক বন্ধুর লেখা ডাইরি আমাকে অনুপ্রাণিত করে লিখতে বাধ্য করেছে। তাই, আবার নিয়মিত ডাইরি লিখছি তবে একটা নয়, দুটো। একটাতে রোজনামচা আরেকটা একটু অন্যভাবে, তারি কয়েকটি পাতা...

Wednesday, January 25, 2017

আজ আমি স্বপ্নময়

"আজ আমি স্বপ্নময়"
     আকাশবাণী কলকাতার সঙ্গে আমার আত্মীক যোগাযোগ সেই ছাত্রাবস্থা থেকে। সেই সুবাদেই 'স্বপ্নময় চক্রবর্তী' নামটির সাথে পরিচিত আমি। কারণ, উনি আকাশবাণীতে দীর্ঘদিন কর্মরত ছিলেন। আমি তখন আকাশবাণীতে নিয়ম করেই লিখতাম এবং আমার লেখা উনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পাঠও করেছেন। সেই সময় পত্রপত্রিকাতে স্বপ্নময় চক্রবর্তী নামে কোন লেখা দেখলে ভাবতাম উনি কি সেই আকাশবাণীর উপস্থাপক স্বপ্নময় চক্রবর্তী ? পরে এ কৌতূহলের অবসান ঘটে। তারপর, পত্রপত্রিকাতে সেই নাম দেখলেই বন্ধু মহলে সগর্বে বলতাম জানিস ইনি আমার রেডিওতে লেখা পড়েছেন! যাক সে কথা 'জঙ্গীপুর বইমেলা'-২০১৬। উদ্বোধক স্বপ্নময় চক্রবর্তী। মনে অসীম উদ্দীপনা আর উন্মাদনা নিয়ে এক ঝলক দেখার জন্য দাঁড়িয়ে রয়েছি। কারণ, যে লোকটা রেডিওতে আমার লেখা পড়েছেন তিনি নাজানি কেমন দেখতে? উদ্বোধনের পর বইমেলার মাঠে কথা বলার সুযোগ হতেই হাতটা বাড়িয়ে দিয়ে বললাম স্যার, আমি সবুজ জঙ্গীপুরের ছেলে। আকাশবাণীতে আপনি আমার চিঠি পড়েছেন। কথাটা বলতেই উনি আন্তরিকতার সঙ্গে কথা বলে গেলেন। এরপর প্রধান অতিথির ভাষণে আমার নামটি ধরে বললেন, এখানেও আমার একজন আকাশবাণী কলকাতার সূত্রে পরিচিত জন আছে। আমি অভিভূত! মনে মনে ভাবলাম সত্যি এ স্বপ্নময়!
     'রফিকুল ইসলাম স্মৃতি পুরষ্কার -২০১৭' প্রাপক স্বপ্নময় চক্রবর্তী। অনুষ্ঠানে খোঁজ সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক নীহারুল ইসলাম কর্তৃক আমন্ত্রিত হয়ে চলে যায় লালগোলা এমএন এ্যকাডেমি। স্বপ্নময় বাবু কোমল ভঙ্গিতে প্রবেশ করলেন, পরিচয়টা দিতেই চিনলেন। এবং সাহিত্যিক সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে আকাশবাণী নিয়ে বিশেষ করে প্রাত্যহিকী, প্রাত্যহিকী পরিবার নিয়ে অনেক কথা বললেন। শ্রোতাদের আন্তরিকতা, একে অপরের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার ভূয়সী প্রশংসা করলেন। এরই মাঝে আমার রোজ লেখা ডাইরিটা বাড়িয়ে দিয়ে বললাম, স্যার আমি রোজ ডাইরি লিখছি আজকের পাতাটাই আপনি লিখুন বলতেই ২৩ শে' জানুয়ারির ডাইরিটা উনি লিখেদিলেন। এরপর, শুনলাম স্বাগত ভাষণ, স্বপ্নময় চক্রবর্তীর নানান অভিজ্ঞতার কথা, তাঁর লেখালেখি, আকাশবাণীর চাকুরী জীবনের কথা। এবং, সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায়ের চোখে স্বপ্নময় চক্রবর্তী। অনবদ্য এক ব্যক্তিত্ব! তবে, আকাশবাণীতে শোনা স্বপ্নময় চক্রবর্তীর গল্প 'রক্ত' আজও আমার হৃদয়ে রক্ত ঝড়ায়...

লালগোলার কালা

আমার ডাইরির পাতা থেকে...

Saturday, January 21, 2017

উস্কানি দিয়ে রাখলেন।

ডোনান্ড ট্রাম্প শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বললেন, "ইসলাম সন্ত্রাসবাদ মুছে ফেলবেন"। আমার জানতে ইচ্ছে করছে, আচ্ছা বাকী সন্ত্রাসবাদ কি তবে থাকবে? এই বক্তব্য শুনে মনে হলো উনি, অন্য সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করেন! মানে যারা ইসলাম নিধনে সন্ত্রাস করবেন তারা সন্ত্রাসী নন! কারণ, সন্ত্রাসবাদ শুধু ইসলাম ধর্মাবম্বীরাই করেন? নইলে উনি বলতেন, সব সন্ত্রাসবাদ মুছে ফেলবেন। এমনকী যারা এই সন্ত্রাসবাদিদের যারা মদত বা অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করবেন তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেবেন। কিন্তু, তিনি তা বললেননা। একজন রাষ্ট্র প্রধান প্রথম দিনেই দুনিয়াজুড়ে একটা উস্কানি মূলক বার্তা দিয়ে রাখলেন।

আমার ডাইরি

আমার ডাইরি এবার আমার ব্লগ সবুজ ডাইরিতে।

Monday, January 16, 2017

Wednesday, January 11, 2017

আমাদের ৩ এ পা।

আজ আমাদের ৩ -এ পা...
      স্কুল জীবনে যে দু একটা প্রেম পর্ব চালাইনি সেরম সাধু কিন্তু আমি না। তবে, এ গোপন খেলাই মেতে উঠলাম কলেজে এসে। আমি কিন্তু বরাবরই একটু শান্ত প্রকৃতির মানে, নো বিড়ি, নো সিগারেটে চকলেট বয়। মানে খেলে চকলেটটা খাই, আর কোন রকম ঝঞ্ঝাট ঝামেলাতে আমি নৈব নৈব চ। তবে, মনে প্রাণে একটু দুষ্টুও বটে। যাকে মিচকে শয়তান বললেও ভুল হবেনা মোটেও। তবে সবাই  ভালো বলেই জানে আরকী। আমার এই শান্ত শিষ্ট ভাবটাই ভালো লেগে গেল 'ওর'। প্রথম বর্ষ শেষ হতেনা নাহতে শুরু হলো প্রেম প্রেম খেলা তবে, ঠিক 'প্রেম' নয়। কারণ, ওর দিক থেকে প্রেমটা ধরি মাছ না ছুঁই পানির মতো ছিল। প্রেম করবো কিন্তু, মন দেবনা, দিই যদি বিয়ে করবোনা টাইপের আরকী। কিন্তু, আমি ততোদিনে প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছি। পড়ালেখা তো "ইন্দা ভোগাম্বা" মায়ের ভোগে,। এরি ফাঁকে সময় হলো ওর বিয়ের পিঁড়িতে বসার। কিন্তু, আমি তো ওদের চোখে পাত্র হিসেবে একেবারে কবি সুকুমার রায় -এর 'সৎপাত্র'। তাই বাঁদরের গলাই মুক্তোর মালা কিছুতেই ঝুললোনা। ১ নম্বর ছেলে ছেড়ে, এক ২ নম্বরির সাথে বিয়ে হয়ে গেল ওর! শেষ ফোনে বলে গেল আমি ফিরে আসবোই। একবার ভাবলাম ভালো হলো কারণ, আমি আর সইতে পারছিলামনা। কখনো মনে হচ্ছিল এ জীবন বয়ে বেড়ানোর কোন মানে হয়না আর। তাই ছবি আঁকছিলাম বিয়ের দিন আমার মৃত শরীরটা যেন ওদের বাড়ির সামনের রাস্তায় শায়িত থাকে। দেখি আমাকে উপেক্ষা করে যায় কীকরে অন্যের কাছে? আরো কতকী! দিবা স্বপ্ন দেখতে থাকলাম সিনেমার মতো হবে কিছু একটা, ও বিয়ের মন্ডপ ছেড়ে ছুটে পালিয়ে এসে বলবে এই দেখো আমি তোমার কাছে চলে এসেছি এখন আমি তোমারই। আমরা একসাথে থাকবো এবার থেকে। বা আমারই হইত ডাক পড়বে এসো তুমিই বসো বিয়ের পিঁড়িতে। কিন্তু নাহ! সেরম কিছু ঘটেনি। আর সবটা বলছিওনা কারণ, সব বললে আমাকে খারাপ ছেলেই ভাবতে শুরু করবেন তখন। ওর বিয়ের দিন বাড়িতে যেন মরকাঁদুনি পরেছে কারণ, বাড়ির সবাই ভালোবাস তো ওকে। মা ডেকে বললেন, যাক। যেগেছে সে যাক এবার, আমি পাত্রির সন্ধান করছি শুভ কাজটা তুমিও সেরে ফেল। আমি না বুঝেও এটা বুঝলাম বাড়ির লোক আমাকে সান্তনা দিচ্ছেন। এই আপনাদের কাউকে কোনদিন সাপে কেটেছে?  জানেন কেউ কেমন বিষ কালনাগিনীর? জানেননা না? আমি জানি। এ বিষ কিছুতেই নামেনা। তাই আমি এ বিষ ধারন করতে পাথর হলাম। কিন্তু পাথরেরও তো ক্ষয় আছে, যন্ত্রণা আছে। দেখবেন অনেক পাথর ক্ষয়ে গেছে এবং ফেটেফুটে চৌচির, সেগুলো অবশ্য আমার ব্যাথাতেই। যাক সেকথা, আমার বিয়ের পিঁড়িতে বসার সময় পার হয়ে যাবারপর সময় যখন অবশেষে হলো তখন, ও বললো আমাদের একসাথেই থাকতে হবে। আমার দেওয়ালে পিঠ ঠেকে ছিলো। আর পিছানোর জায়গা ছিলোনা। অতএব, এগুতে হল। আমিও স্থির করলাম বিয়ে করলে ওকেই করা উচিৎ। অসীম যন্ত্রণা নিয়ে, মনটাকে একটু বড়ো করে আর লজ্জা সরমের মাথা খেয়ে এক গডফাদারের হস্তক্ষেপে ডিভোর্সি প্রেমিকাকে বিয়ে করে ফেললাম। যৌতুক হিসেবে কী পেলাম? একটা মিষ্টি মেয়ে। শুরু করলাম সংসার জীবন, এতো শব্দের মাঝেও আমরা কিন্তু কোকিলের কুহুকণ্ঠ শুনি। দুই বছরপর আরও এক মেয়ে, এখন  হাম দো হামারা দো...