সবুজ ডাইরি
শ্রী চিত্তরঞ্জন মাহাত, শিক্ষক জার্গো হাই স্কুল, এম এল এ এবং তৎকালীন বাম সরকারের ত্রাণ ও খাদ্যমন্ত্রী। বাবা দীর্ঘ ২৫ বছরেরও বেশী তাঁর বাড়ি ও জেলা পুরুলিয়াতে কনস্ট্রাকশনের কাজ করতেন। মেজদা প্রাইমারি স্কুলের গণ্ডি পাড়করে বাবার সাথে চললেন, পড়া ও কাজ দুটোই করতে। কিন্তু, বাবার বদান্যতায় খুউব অল্পদিনেই দাদা হয়ে উঠলেন শিক্ষক - মন্ত্রীর প্রিয়পাত্র। সেই সুযোগে মন্ত্রীর ঘরে দাদার অবাধ প্রবেশ। এবং মন্ত্রীর সাহচর্য দাদার জীবনে বড়ো প্রভাব ফেলে। দাদা রাজমিস্ত্রি কাজ ছেড়ে এখন ইংরেজি বিষয়ের গৃহ শিক্ষকতা করেন। সেই সময় দাদা দেশের বাড়িতে ফিরলে আমাদের জন্য নতুন নতুন খেলনা, জিনিসপত্র আর গল্প নিয়ে আসতেন। তারমধ্যে, পুরুলিয়ার লালমাটি, পাহাড়, সাপ, চোর, প্রহরী ও শিক্ষক-মন্ত্রীর হাজারও মহানতার কথা। একবার দাদা নানা জিনিসের সাথে ১৯৫৩ সালের একটা পুরনো ডাইরি নিয়ে আসেন। এবং সেই ডাইরি মন্ত্রীর নিজহস্তে লেখা। আমি সেই ডাইরির প্রতিটি পাতা পড়ে বিভোর হয়ে যেতাম! তখন আমি স্কুলে সিক্স কী সেভেনে হবো। ডাইরি লেখা শুরু করলাম নিয়ম করে। মাঝে জীবনের নানান চড়াই উৎরায়ে ভাটা পরে। তবে, মনের ডাইরি লেখা চলতে থাকে। তাই, ইন্টারনেটে প্রবেশ ঘটলে www.sabujdiary.blogspot.com লেখা শুরু করি।
সম্প্রতি এক ফেসবুক বন্ধুর লেখা ডাইরি আমাকে অনুপ্রাণিত করে লিখতে বাধ্য করেছে। তাই, আবার নিয়মিত ডাইরি লিখছি তবে একটা নয়, দুটো। একটাতে রোজনামচা আরেকটা একটু অন্যভাবে, তারি কয়েকটি পাতা...
No comments:
Post a Comment