আজ আমাদের ৩ -এ পা...
স্কুল জীবনে যে দু একটা প্রেম পর্ব চালাইনি সেরম সাধু কিন্তু আমি না। তবে, এ গোপন খেলাই মেতে উঠলাম কলেজে এসে। আমি কিন্তু বরাবরই একটু শান্ত প্রকৃতির মানে, নো বিড়ি, নো সিগারেটে চকলেট বয়। মানে খেলে চকলেটটা খাই, আর কোন রকম ঝঞ্ঝাট ঝামেলাতে আমি নৈব নৈব চ। তবে, মনে প্রাণে একটু দুষ্টুও বটে। যাকে মিচকে শয়তান বললেও ভুল হবেনা মোটেও। তবে সবাই ভালো বলেই জানে আরকী। আমার এই শান্ত শিষ্ট ভাবটাই ভালো লেগে গেল 'ওর'। প্রথম বর্ষ শেষ হতেনা নাহতে শুরু হলো প্রেম প্রেম খেলা তবে, ঠিক 'প্রেম' নয়। কারণ, ওর দিক থেকে প্রেমটা ধরি মাছ না ছুঁই পানির মতো ছিল। প্রেম করবো কিন্তু, মন দেবনা, দিই যদি বিয়ে করবোনা টাইপের আরকী। কিন্তু, আমি ততোদিনে প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছি। পড়ালেখা তো "ইন্দা ভোগাম্বা" মায়ের ভোগে,। এরি ফাঁকে সময় হলো ওর বিয়ের পিঁড়িতে বসার। কিন্তু, আমি তো ওদের চোখে পাত্র হিসেবে একেবারে কবি সুকুমার রায় -এর 'সৎপাত্র'। তাই বাঁদরের গলাই মুক্তোর মালা কিছুতেই ঝুললোনা। ১ নম্বর ছেলে ছেড়ে, এক ২ নম্বরির সাথে বিয়ে হয়ে গেল ওর! শেষ ফোনে বলে গেল আমি ফিরে আসবোই। একবার ভাবলাম ভালো হলো কারণ, আমি আর সইতে পারছিলামনা। কখনো মনে হচ্ছিল এ জীবন বয়ে বেড়ানোর কোন মানে হয়না আর। তাই ছবি আঁকছিলাম বিয়ের দিন আমার মৃত শরীরটা যেন ওদের বাড়ির সামনের রাস্তায় শায়িত থাকে। দেখি আমাকে উপেক্ষা করে যায় কীকরে অন্যের কাছে? আরো কতকী! দিবা স্বপ্ন দেখতে থাকলাম সিনেমার মতো হবে কিছু একটা, ও বিয়ের মন্ডপ ছেড়ে ছুটে পালিয়ে এসে বলবে এই দেখো আমি তোমার কাছে চলে এসেছি এখন আমি তোমারই। আমরা একসাথে থাকবো এবার থেকে। বা আমারই হইত ডাক পড়বে এসো তুমিই বসো বিয়ের পিঁড়িতে। কিন্তু নাহ! সেরম কিছু ঘটেনি। আর সবটা বলছিওনা কারণ, সব বললে আমাকে খারাপ ছেলেই ভাবতে শুরু করবেন তখন। ওর বিয়ের দিন বাড়িতে যেন মরকাঁদুনি পরেছে কারণ, বাড়ির সবাই ভালোবাস তো ওকে। মা ডেকে বললেন, যাক। যেগেছে সে যাক এবার, আমি পাত্রির সন্ধান করছি শুভ কাজটা তুমিও সেরে ফেল। আমি না বুঝেও এটা বুঝলাম বাড়ির লোক আমাকে সান্তনা দিচ্ছেন। এই আপনাদের কাউকে কোনদিন সাপে কেটেছে? জানেন কেউ কেমন বিষ কালনাগিনীর? জানেননা না? আমি জানি। এ বিষ কিছুতেই নামেনা। তাই আমি এ বিষ ধারন করতে পাথর হলাম। কিন্তু পাথরেরও তো ক্ষয় আছে, যন্ত্রণা আছে। দেখবেন অনেক পাথর ক্ষয়ে গেছে এবং ফেটেফুটে চৌচির, সেগুলো অবশ্য আমার ব্যাথাতেই। যাক সেকথা, আমার বিয়ের পিঁড়িতে বসার সময় পার হয়ে যাবারপর সময় যখন অবশেষে হলো তখন, ও বললো আমাদের একসাথেই থাকতে হবে। আমার দেওয়ালে পিঠ ঠেকে ছিলো। আর পিছানোর জায়গা ছিলোনা। অতএব, এগুতে হল। আমিও স্থির করলাম বিয়ে করলে ওকেই করা উচিৎ। অসীম যন্ত্রণা নিয়ে, মনটাকে একটু বড়ো করে আর লজ্জা সরমের মাথা খেয়ে এক গডফাদারের হস্তক্ষেপে ডিভোর্সি প্রেমিকাকে বিয়ে করে ফেললাম। যৌতুক হিসেবে কী পেলাম? একটা মিষ্টি মেয়ে। শুরু করলাম সংসার জীবন, এতো শব্দের মাঝেও আমরা কিন্তু কোকিলের কুহুকণ্ঠ শুনি। দুই বছরপর আরও এক মেয়ে, এখন হাম দো হামারা দো...
Wednesday, January 11, 2017
আমাদের ৩ এ পা।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment