Tuesday, May 29, 2018

"উল্টোপথে ভারতীয় রেল"

উল্টোপথে ভারতীয় রেল।
মাত্র কয়েকদিন আগে, সংবাদপত্রে জেনেছি - জাপান দেশে একটি ট্রেন নির্দিষ্ট সময়ের ৩ সেকেন্ড পূর্বেই ছেড়ে দিলে, পরে সেই ৩ সেকেন্ডের জন্য জাপান রেলের পক্ষ হতে যাত্রীদের কাছে ক্ষমা চাওয়া হয়েছে। সেদিন আমি হেসেছিলাম। আমার হাসার কারণটা আপনারা সকলেই জানেন। তাই আর বলছিনে। আর আজ মাননীয় রেল মন্ত্রীর দপ্তর হতে একটি ইমেল পেয়ে কাঁদছি। এ কারণটা আপনাদের বলি। ভারতীয় রেলের বেহাল অবস্থাকে হালে ফেরাতে কিছুদিন আগে রেল কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করে। কিন্তু সেসব পদক্ষেপ বাস্তবে ডাহা ফেল। তাই, রেলকে ট্রাকে ফেরাতে শুরু হয়েছে আবার চিন্তা ভাবনা। এবং তাবড়, তাবড় নেতা, মন্ত্রী, আধিকারিক, কর্মচারী এঁদের সঙ্গে আপনিও এ চিন্তা ভাবনাতে অংশগ্রহণ করতে পারেন। দেশের কাজে আপনি সরাসরি নিজেকে নিয়োজিত করার সুযোগ পাচ্ছেন। এতো ভালো কথা। কারণ আপনার চিন্তা ভাবনা, মতামত রেলকে সমৃদ্ধ করবে মানে দেশকে সমৃদ্ধ করবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো কী - এ চিন্তা ভাবনাতে অংশগ্রহণ করলে আপনাকে ১ হাজার টাকা অর্থ রেলকে ডিমান্ড ড্রাফট হিসেবে দিতে হবে। মানে আপনার চিন্তা ভাবনাতে সমৃদ্ধ হবে রেল, তাতে আপনাকে পুরস্কৃত নাকরে, আপনার গাঁটের কড়ি রেলকেই দিতে হবে। ভাবুন, নেতা মন্ত্রীরা ফ্রিতে সফর করবেন, আধিকারিক বা কর্মচারীরা মোটা মাইনে তুলবেন আর আপনি মতামত দিয়ে রেলকে সমৃদ্ধ করবেন আর আপনাকেই ঘুরিয়ে টাকা দিতে হবে। এরম দেশভক্ত কেউ আছেন? নিশ্চয় আছেন। কাজেই ভারতীয় রেল দেশভক্তদের কাছ থেকেই হাজার হাজার কোটী টাকা পেয়ে যাবার কথা। কারণ, বর্তমানে তো দেশভক্তের অভাব নেই। বরং এতো দেশভক্তি এখন দেশে বিড়ম্বনার কারণ হয়ে উঠেছে। তাছাড়া, কিছু মানুষ তো হুজুগে আছেনই।  তাছাড়া আমরা জ্ঞান দিতে পেলে আর কিছু চাইনা তাতে লাগুক গাঁটের কড়ি। তাই, আমিও কিছু মতামত দিতে চাই তবে, এক টাকাও দিতে পারবোনা গোয়েল সাহেব। তাতে আপনি আমার মতামত গ্রহণ করুন আর নাই করুন-
১) কর্মচারীদের বেতন কমান।
২) শূন্যপদ পূরণ করুন।
৩) বিনা টিকিটের যাত্রী ধড়া পরলেই তাকে রেলে যাতায়াত নিষিদ্ধ করুন (বিমানের মতো)।
৪) যে কর্মচারী ঘুষ খাবেন তাকে সাময়িক নয় পুরোপুরিভাবে চাকরি থেকে বাদ দিন।
৫) রেলের পরিত্যক্ত লোহাগুলোকে কাজে লাগান।
৬) যারা রেল অবরোধ করবে তাদের চিহ্নিত করে রেলে যাতায়াত নিষিদ্ধ করা হোক।
৭) যে কর্মচারীরা তার নিজের কর্তব্য সঠিক পালন করেনা তাদের বেতন কেটে নেওয়া হোক।
৮) রেলের গাফিলতি থাকলে যাত্রীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক।
৯) রেলের সম্পতি চুরি বা নষ্ট করলে ১০ গুন বেশী ক্ষতিপূরণ আদায় করা হোক।
১০) প্রত্যেক ষ্টেশনে দানপেটী রাখুন।

Monday, May 14, 2018

যা দেখি, যা শুনি


যা দেখি, যা শুনি
রাজনীতিতে পদার্পণ -
১)আমার কোন চাওয়া পাওয়া নেই। আমি দেশ ও দশের সেবা করতে চাই বলে রানীতিতে এসেছি।
অন্যদল দল সম্পর্কে -
২) ওরা তো দেশটাকে শেষ করে দিয়েছে। আমি উন্নয়নের পক্ষে তাই এই দলে যোগ দিলাম।
দল থেকে যখন তাড়ানো হয় -
৩) এদল দুর্নীতিতে ভরে গেছে। তাই আমজনতার সঙ্গে আমি গাদ্দারী করতে পারবোনা। তাই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
অন্য দলে যোগ -
৪) এই দলই দেশকে দিশা দেখাতে পারে। এদলের বিকল্প এখন নেই। তাই গরীব মানুষ, অসহায় মানুষের পাশে থাকতে আমার দল পরিবর্তন।
আবার পুরানো দলে ফেরা -
৫) এ দল ওদল করে যখন, পুরনো দলে ফিরে আসে তখন বলে ঘরের ছেলে ঘরে ফিরলাম। এতে আমার কোন লজ্জিত হবার কারণ নেই।
ভোট বিক্রি করে -
৬) আপনি আপনার অতি মূল্যবান ভোটটা আমাকে, আমার দলকে দিন। ওদের একটিও ভোট দেবেননা। কিন্তু আপনার অতি মূল্যবান ভোটে পাশ করে তিনিই অন্যদলে যোগ দেন।
যখন মরবেন -
৭) মারবেন আপনি, পুলিশ আপনাকে তেড়ে নিয়ে বেড়াবেন। মরবেন আপনি, মা সন্তানের শোকে কাতর হবেন। বউ স্বামী হারা হয়ে অসহায় জীবনযাপন করবেন। পিতা হারা সন্তানরা দিকভ্রান্ত হবে। আর ওরা শুধু একদিন একথাটা বললেন - আমাদের একজন সক্রিয় কর্মীকে মেরে ফেলেছে। পরিবারের একদিনও খোঁজ নেবেননা।
বিশেষ প্রয়োজনে গেলে -
৮) এখন নেই পরে আসবেন।
★(সকলেই নন, দেশে ভালো নেতা, মন্ত্রী আছেন)

Sunday, May 13, 2018

ভালো থেকো মা...

আজ মাতৃ দিবস। প্রবাদ আছে যে, ঈশ্বর সর্বত্র থাকতে পারবেননা তাই তিনি মায়ের সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু, আজ বড়ো দূর্ভাগ্য মায়েদের। কারণ, ঈশ্বর ব্যতীত স্থানগুলিতে আজ আর মায়েরা থাকেননা। মায়েদের স্থান এখন বৃদ্ধাশ্রম। নাহয়, অন্ধকার ঘরের কোণে, চাল ফুটো কুঁড়েঘরে বা পথে প্রান্তরে। নিজের জন্য, পত্নীর জন্য, সন্তানের জন্য অভিজাত পোশাকাদি। আর মায়ের কাপড় একখানা সাদা মার্কিন থান। তাও একটু সার আর সোডার যে বড্ড অভাব তা ময়লাটে কাপড়টা দেখলেই সহজেই অনুমান করা যায়। মা তবু সেই কাপড় টুকু জড়িয়ে বেঁচে থাকেন। ছেলের প্রতি কোন অভিমান করেননা, আব্দার করেননা। মা ভাবেন ছেলে নিশ্চয় দেবে। কিন্তু ছেলের আর কেনা হয়না। মায়ের কাপড় টা খুব ভারি হয়! তবে, সবাই নন। মাকে অনেকে ভালোবাসেন, শ্রদ্ধা করেন, বুড়ো মা শিশুর মতো আগলে রাখেন। তবে বছরের এই একটি দিনে মায়ের কত গুণকির্তণ আর অবহেলা, লাঞ্ছনার কথা বলবো। আজ বড্ড আদিখ্যেতা মনে হয়। তাই ৩৬৫টি দিনই
পৃথিবীর সব, সব মায়েদের ভালোবাসা, শুভেচ্ছা আর অনেক, অনেক শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। ভালো থেকো সকল মা...

Thursday, May 10, 2018

কে?

কে?
দিলিপ ঘোষ বললেন - কে অমর্ত্য সেন? তিনি কী করেছেন? আর অনুব্রত মন্ডল বললেন - শঙ্খ ঘোষ কে? রবীন্দ্রনাথ, নজরুল ইসলাম ছাড়া তো তিনি কোনো কবিকে চেনেননা। খারাপ লাগছে এজন্যই যে আমাদের দিদিও ভালো কবিতা লেখেন। তিনি দিদি কেউ কবি হিসেবে চিনতে পারলেননা বলে।
ঘোষ দা, অমর্ত্য সেন কে এবং তিনি কী করেছেন এটা যদি না জানেন তবে দেশে কেমন আচ্ছে দিন এসেছে অনুমান করুন। আর কেষ্ট দা শঙ্খ ঘোষ কে না জানলেও যাক, রবীন্দ্রনাথ বা নজরুল ইসলামকে তো উনি চেনেন। উন্নয়ন যে সত্যি রাস্তাঘাটে গড়াগড়ি খাচ্ছে তা তো দেখতেই পাচ্ছি। তাই, একজনকে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য আর আরেকজনকে রবীন্দ্রনাথ ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় বা নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য করা হোক।

Wednesday, May 9, 2018

লহ প্রণাম

"আমার প্রাণের মানুষ আছে প্রাণে
তাই হেরি তাই সবাই জানে"...

    আমাদের প্রাণের মানুষ, আমাদের প্রাণের কবি। সেই ছোট্ট বেলাতে কিশলয় পাঠ্য বই এ পড়া - "আজ ২৫শে বৈশাখ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন"। তখন কী আর জানতাম এ কোন রবি? এ কোন প্রাণের মানুষ তিনি। তবে, যত বড় হলাম তত এ রবি কিরণে উদ্ভাসিত হতে থাকলাম। কারণ, এ কিরণ যে মানুষের অজ্ঞতার অন্ধকার দূর করে। শুধু কি তাই? এ রবি মানব সভ্যতার অন্ধকার দূর করে। তাই যে যেভাবে পারি সেই আলোকে নিজের অন্ধকার দূর করেনি। কি গান, কি গল্প, কি কবিতা, নাটক, উপন্যাস, চিত্রবাণী। দর্শণ চিন্তা কোন না আলোক আছে রবি কিরণে? তাই, যে এ আলোককে  অস্বীকার করবে সে নিজে নিমজ্জিত থাকবে অজ্ঞতার গহীন অন্ধকারে। তাই, আগামী ২৫ শে বৈশাখ কবিপক্ষে আমরা আমাদের প্রিয় কবির জন্মদিবস। তার আগে থেকেই বাঙালীর শুরু কবিপক্ষ। যদিও আমরা বাঙালি আজ আত্মঘাতী বাঙালীতে পর্যবেশীত হয়েছি। আমরা রবি ঠাকুরকে জানতে চাইনা, পড়তে চাইনা, মানতে চাইনা, শুনতে চাইনা। আমরা আজ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাণীকে দূরে ঠেলে দিয়ে নিজস্ব গণ্ডিতে নিজেকে আবদ্ধ করে ফেলছি। আজ আমরা কূপমণ্ডূক হয়ে নতুন বৃত্ত তৈরীতে মাতোয়ারা হয়েছি। এ বড়ো যন্ত্রণার, বড়ো বেদনার। কিন্তু রবি ঠাকুর তিনি নিজে আশা ব্যক্ত করে বলেছেন -
"আজি হতে শতবর্ষ পরে.
কে তুমি পড়িছ বসি আমার কবিতাখানি. কৌতূহলভরে--.
আজি হতে শতবর্ষ পরে"।
তাই, আমাদের প্রাণের কবি শুধু কবিপক্ষে নয়, আজি হতে শতবর্ষ পরেও আমাদের রবি কিরণ ছড়িয়ে যাবেন। আর আমরাও সারাপক্ষ ধরে রবির কিরণে আলোকিত হবো।
(এই লেখাটি আকাশবাণী মুর্শিদাবাদ ও কলকাতাতে সম্প্রচারিত)

Friday, May 4, 2018

IPL -এর পাঁচ ফোড়ন

IPL -এর পাঁচ ফোড়ন।

(১) একজন জিজ্ঞেস করলেন কত হলো?
উত্তরে বলি ৩৬। উনি প্রতিউত্তরে বলেন সেই তো ৫০ দেখে এসেছে। তখন বলি মাফ করবেন, আমি আমার বয়সটা বলে দিয়েছি। আসলে উনি জানতে চেয়েছিলেন IPL ক্রিকেটের স্কোর কত?

(২) একজন বললেন, কে জিতবে?  আমি বললাম- দিদি সরকারে আছে। চারিদিকে উন্নয়ন, কাজেই পঞ্চায়েত দিদি সরকারই জিতবে। উনি বললেন - ভোট নয়, IPL ম্যাচটা কে জিততে পারে। আসলে মানুষের মতামতটা জেনে নিয়ে সে বেটিং ধরবে।

(৩) এমনি এক দাদা জানতে চাইলেন আজ কত রেট চলছে? বললাম, আজ শেয়ার মার্কেট রেট খুব খারাপ দাদা। দেশের যা অবস্থা,  ৪০০ পয়েন্ট পড়ে গেছে। উনি বিরক্ত হয়ে বললেন আরে ভাই শেয়ার মার্কেট  নয়। সে IPL বেটিং -এর রেট কত জানতে চাইছিলেন।

(৪) সকালে চায়ের দোকানে বসে আছি। একজন জিজ্ঞেস করলেন - গতরাতের কে জিতেছে? আমি সলজ্জিত হয়ে বললাম, কি আর বলবো দাদা, রাতের ঝগড়াতে আমার বউ ই জিতেছে। কারণ, বউ কথায়, কথায় পুলিয়ে বধূ নির্যাতনের কেশ করবে বলে ভয় দেখাচ্ছিল। উনি বললেন - "আমি IPL ম্যাচের কথা জানতে চাইছিলাম"।

(৫) এরপর ও যদি কেউ আমাকে IPL এর খবর জিজ্ঞেস করেন তবে বলি, দাদা আমি IPL এ নেই, আমি BPL তালিকাভুক্ত লোক।

Wednesday, May 2, 2018

লাইফ ইন এ মেট্রো

"লাইফ ইন এ মেট্রো"
একজোড়া যুবক যুবতী একে অপরকে ঝাপটে ধরে আলিঙ্গন করছেন। এমন সময় ট্রেন ছাড়ার বাঁশি। ট্রেন চলতে শুরু করলে আরও কটা কচাং, কচাং করে কিস করে নিয়ে নেমে পড়ল যুবকটি। যুবতীকে অঝোর নয়নে কাঁদতে দেখে অন্য মহিলা যাত্রীরা তাকে শান্তনা দিতে এগিয়ে এলেন। বললেন- কেঁদোনা মা। ক্ষেত্র বিশেষে,  জীবনে অনেকসময়  স্বামীকে ছেড়ে থাকতে হয়। যুবতীটি কাঁদো, কাঁদো কণ্ঠে বললো- আমি তো স্বামীর কাছেই যাচ্ছি মাসিমা। এই কথা শুনে যাত্রীরা সকল থ হয়ে রইলেন। কিন্তু, সৌভাগ্য যুগলের তাদের কেউ মার মার বলে এগিয়ে আসেনি।