"আমার প্রাণের মানুষ আছে প্রাণে
তাই হেরি তাই সবাই জানে"...
আমাদের প্রাণের মানুষ, আমাদের প্রাণের কবি। সেই ছোট্ট বেলাতে কিশলয় পাঠ্য বই এ পড়া - "আজ ২৫শে বৈশাখ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন"। তখন কী আর জানতাম এ কোন রবি? এ কোন প্রাণের মানুষ তিনি। তবে, যত বড় হলাম তত এ রবি কিরণে উদ্ভাসিত হতে থাকলাম। কারণ, এ কিরণ যে মানুষের অজ্ঞতার অন্ধকার দূর করে। শুধু কি তাই? এ রবি মানব সভ্যতার অন্ধকার দূর করে। তাই যে যেভাবে পারি সেই আলোকে নিজের অন্ধকার দূর করেনি। কি গান, কি গল্প, কি কবিতা, নাটক, উপন্যাস, চিত্রবাণী। দর্শণ চিন্তা কোন না আলোক আছে রবি কিরণে? তাই, যে এ আলোককে অস্বীকার করবে সে নিজে নিমজ্জিত থাকবে অজ্ঞতার গহীন অন্ধকারে। তাই, আগামী ২৫ শে বৈশাখ কবিপক্ষে আমরা আমাদের প্রিয় কবির জন্মদিবস। তার আগে থেকেই বাঙালীর শুরু কবিপক্ষ। যদিও আমরা বাঙালি আজ আত্মঘাতী বাঙালীতে পর্যবেশীত হয়েছি। আমরা রবি ঠাকুরকে জানতে চাইনা, পড়তে চাইনা, মানতে চাইনা, শুনতে চাইনা। আমরা আজ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাণীকে দূরে ঠেলে দিয়ে নিজস্ব গণ্ডিতে নিজেকে আবদ্ধ করে ফেলছি। আজ আমরা কূপমণ্ডূক হয়ে নতুন বৃত্ত তৈরীতে মাতোয়ারা হয়েছি। এ বড়ো যন্ত্রণার, বড়ো বেদনার। কিন্তু রবি ঠাকুর তিনি নিজে আশা ব্যক্ত করে বলেছেন -
"আজি হতে শতবর্ষ পরে.
কে তুমি পড়িছ বসি আমার কবিতাখানি. কৌতূহলভরে--.
আজি হতে শতবর্ষ পরে"।
তাই, আমাদের প্রাণের কবি শুধু কবিপক্ষে নয়, আজি হতে শতবর্ষ পরেও আমাদের রবি কিরণ ছড়িয়ে যাবেন। আর আমরাও সারাপক্ষ ধরে রবির কিরণে আলোকিত হবো।
(এই লেখাটি আকাশবাণী মুর্শিদাবাদ ও কলকাতাতে সম্প্রচারিত)
No comments:
Post a Comment