Tuesday, May 1, 2018

প্রেমিক মানে শ্রমিক

প্রেমিক মানে শ্রমিক
কলকাতা নাকি সংস্কৃতির রাজধানী বা পিঠস্থান। সেখানে যে যার মতো খাবেন, পরবেন, চলবেন। এবং কৃষ্টি কালচার পালন করবেন। তাই, ভাগাড়ের মরা পশুর মাংস দেশী-বিদেশী রেসিপিতে বেশ আয়েশ করে খাবেন তা জানাই ছিলো। অতএব ভাগাড় কাণ্ডে আমি মোটেও অবাক নই। বরং খুশিই হয়েছি এই ভেবে যে, এতদিন যারা গো খায়না শুয়োর খায়না বা খাওয়া চলবেনা বলে গর্জে উঠেছিলেন তাদের জুতসই একটা জবাব দেওয়া গেল। কেননা ভাগাড়ই হয়ে উড়লো নানা ধর্মের সংস্কৃতির মিলনস্থান। তাছাড়া,  কলকাতায় কতইনা সংস্কৃতির মেলবন্ধন। সেই কলকাতাতেই চোখে পড়ব আরও এক আজব সংস্কৃতি। কলকাতার মেট্রোষ্টেশনে প্রেমে আলিঙ্গনরত যুগলকে মারতে মারতে মেট্রো থেকে বার করে দিলেন। কারা? কিছু বাপ-চাচা তূল্য লোক। সবার মুখে একই কথা আমাদের সময় এমন ছিলোনা! এরা সমাজের সংস্কৃতি নষ্ট করছে অতএব পেটাও। মজার ব্যাপার হলোকি, এরাও একদিন একই ভাবে প্রেম করেছেন। হয়ত অন্যত্র বা আড়ালে। কিন্তু যাদের নিভৃতে প্রেমকরার জায়গা নেই তারা কোথায় যাবেন? আর সর্বত্রই তো হায়েনার দল। তারচেয়ে এই জনারণ্য নিরাপদ স্থান। সেখানে এই শ্রমিক দিবসে প্রেমের দুই শ্রমিককে এভাবে পেটানো হলো? আসলে শ্রমিক চিরদিন শোষিত, অত্যাচারিত। কেননা প্রেম করতেও কম মাথারঘাম পায়ে ফেলতে হয়না। একজন প্রেমিক বা প্রেমিকাকে কতশ্রম বা আত্মত্যাগ করতে হয় তা প্রেমিক মাত্রই অবগত আছেন। কাজেই শ্রমিক জিন্দাবাদ, শোষক মুর্দাবাদ।

No comments:

Post a Comment