Tuesday, May 29, 2018

"উল্টোপথে ভারতীয় রেল"

উল্টোপথে ভারতীয় রেল।
মাত্র কয়েকদিন আগে, সংবাদপত্রে জেনেছি - জাপান দেশে একটি ট্রেন নির্দিষ্ট সময়ের ৩ সেকেন্ড পূর্বেই ছেড়ে দিলে, পরে সেই ৩ সেকেন্ডের জন্য জাপান রেলের পক্ষ হতে যাত্রীদের কাছে ক্ষমা চাওয়া হয়েছে। সেদিন আমি হেসেছিলাম। আমার হাসার কারণটা আপনারা সকলেই জানেন। তাই আর বলছিনে। আর আজ মাননীয় রেল মন্ত্রীর দপ্তর হতে একটি ইমেল পেয়ে কাঁদছি। এ কারণটা আপনাদের বলি। ভারতীয় রেলের বেহাল অবস্থাকে হালে ফেরাতে কিছুদিন আগে রেল কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করে। কিন্তু সেসব পদক্ষেপ বাস্তবে ডাহা ফেল। তাই, রেলকে ট্রাকে ফেরাতে শুরু হয়েছে আবার চিন্তা ভাবনা। এবং তাবড়, তাবড় নেতা, মন্ত্রী, আধিকারিক, কর্মচারী এঁদের সঙ্গে আপনিও এ চিন্তা ভাবনাতে অংশগ্রহণ করতে পারেন। দেশের কাজে আপনি সরাসরি নিজেকে নিয়োজিত করার সুযোগ পাচ্ছেন। এতো ভালো কথা। কারণ আপনার চিন্তা ভাবনা, মতামত রেলকে সমৃদ্ধ করবে মানে দেশকে সমৃদ্ধ করবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো কী - এ চিন্তা ভাবনাতে অংশগ্রহণ করলে আপনাকে ১ হাজার টাকা অর্থ রেলকে ডিমান্ড ড্রাফট হিসেবে দিতে হবে। মানে আপনার চিন্তা ভাবনাতে সমৃদ্ধ হবে রেল, তাতে আপনাকে পুরস্কৃত নাকরে, আপনার গাঁটের কড়ি রেলকেই দিতে হবে। ভাবুন, নেতা মন্ত্রীরা ফ্রিতে সফর করবেন, আধিকারিক বা কর্মচারীরা মোটা মাইনে তুলবেন আর আপনি মতামত দিয়ে রেলকে সমৃদ্ধ করবেন আর আপনাকেই ঘুরিয়ে টাকা দিতে হবে। এরম দেশভক্ত কেউ আছেন? নিশ্চয় আছেন। কাজেই ভারতীয় রেল দেশভক্তদের কাছ থেকেই হাজার হাজার কোটী টাকা পেয়ে যাবার কথা। কারণ, বর্তমানে তো দেশভক্তের অভাব নেই। বরং এতো দেশভক্তি এখন দেশে বিড়ম্বনার কারণ হয়ে উঠেছে। তাছাড়া, কিছু মানুষ তো হুজুগে আছেনই।  তাছাড়া আমরা জ্ঞান দিতে পেলে আর কিছু চাইনা তাতে লাগুক গাঁটের কড়ি। তাই, আমিও কিছু মতামত দিতে চাই তবে, এক টাকাও দিতে পারবোনা গোয়েল সাহেব। তাতে আপনি আমার মতামত গ্রহণ করুন আর নাই করুন-
১) কর্মচারীদের বেতন কমান।
২) শূন্যপদ পূরণ করুন।
৩) বিনা টিকিটের যাত্রী ধড়া পরলেই তাকে রেলে যাতায়াত নিষিদ্ধ করুন (বিমানের মতো)।
৪) যে কর্মচারী ঘুষ খাবেন তাকে সাময়িক নয় পুরোপুরিভাবে চাকরি থেকে বাদ দিন।
৫) রেলের পরিত্যক্ত লোহাগুলোকে কাজে লাগান।
৬) যারা রেল অবরোধ করবে তাদের চিহ্নিত করে রেলে যাতায়াত নিষিদ্ধ করা হোক।
৭) যে কর্মচারীরা তার নিজের কর্তব্য সঠিক পালন করেনা তাদের বেতন কেটে নেওয়া হোক।
৮) রেলের গাফিলতি থাকলে যাত্রীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক।
৯) রেলের সম্পতি চুরি বা নষ্ট করলে ১০ গুন বেশী ক্ষতিপূরণ আদায় করা হোক।
১০) প্রত্যেক ষ্টেশনে দানপেটী রাখুন।

Monday, May 14, 2018

যা দেখি, যা শুনি


যা দেখি, যা শুনি
রাজনীতিতে পদার্পণ -
১)আমার কোন চাওয়া পাওয়া নেই। আমি দেশ ও দশের সেবা করতে চাই বলে রানীতিতে এসেছি।
অন্যদল দল সম্পর্কে -
২) ওরা তো দেশটাকে শেষ করে দিয়েছে। আমি উন্নয়নের পক্ষে তাই এই দলে যোগ দিলাম।
দল থেকে যখন তাড়ানো হয় -
৩) এদল দুর্নীতিতে ভরে গেছে। তাই আমজনতার সঙ্গে আমি গাদ্দারী করতে পারবোনা। তাই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
অন্য দলে যোগ -
৪) এই দলই দেশকে দিশা দেখাতে পারে। এদলের বিকল্প এখন নেই। তাই গরীব মানুষ, অসহায় মানুষের পাশে থাকতে আমার দল পরিবর্তন।
আবার পুরানো দলে ফেরা -
৫) এ দল ওদল করে যখন, পুরনো দলে ফিরে আসে তখন বলে ঘরের ছেলে ঘরে ফিরলাম। এতে আমার কোন লজ্জিত হবার কারণ নেই।
ভোট বিক্রি করে -
৬) আপনি আপনার অতি মূল্যবান ভোটটা আমাকে, আমার দলকে দিন। ওদের একটিও ভোট দেবেননা। কিন্তু আপনার অতি মূল্যবান ভোটে পাশ করে তিনিই অন্যদলে যোগ দেন।
যখন মরবেন -
৭) মারবেন আপনি, পুলিশ আপনাকে তেড়ে নিয়ে বেড়াবেন। মরবেন আপনি, মা সন্তানের শোকে কাতর হবেন। বউ স্বামী হারা হয়ে অসহায় জীবনযাপন করবেন। পিতা হারা সন্তানরা দিকভ্রান্ত হবে। আর ওরা শুধু একদিন একথাটা বললেন - আমাদের একজন সক্রিয় কর্মীকে মেরে ফেলেছে। পরিবারের একদিনও খোঁজ নেবেননা।
বিশেষ প্রয়োজনে গেলে -
৮) এখন নেই পরে আসবেন।
★(সকলেই নন, দেশে ভালো নেতা, মন্ত্রী আছেন)

Sunday, May 13, 2018

ভালো থেকো মা...

আজ মাতৃ দিবস। প্রবাদ আছে যে, ঈশ্বর সর্বত্র থাকতে পারবেননা তাই তিনি মায়ের সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু, আজ বড়ো দূর্ভাগ্য মায়েদের। কারণ, ঈশ্বর ব্যতীত স্থানগুলিতে আজ আর মায়েরা থাকেননা। মায়েদের স্থান এখন বৃদ্ধাশ্রম। নাহয়, অন্ধকার ঘরের কোণে, চাল ফুটো কুঁড়েঘরে বা পথে প্রান্তরে। নিজের জন্য, পত্নীর জন্য, সন্তানের জন্য অভিজাত পোশাকাদি। আর মায়ের কাপড় একখানা সাদা মার্কিন থান। তাও একটু সার আর সোডার যে বড্ড অভাব তা ময়লাটে কাপড়টা দেখলেই সহজেই অনুমান করা যায়। মা তবু সেই কাপড় টুকু জড়িয়ে বেঁচে থাকেন। ছেলের প্রতি কোন অভিমান করেননা, আব্দার করেননা। মা ভাবেন ছেলে নিশ্চয় দেবে। কিন্তু ছেলের আর কেনা হয়না। মায়ের কাপড় টা খুব ভারি হয়! তবে, সবাই নন। মাকে অনেকে ভালোবাসেন, শ্রদ্ধা করেন, বুড়ো মা শিশুর মতো আগলে রাখেন। তবে বছরের এই একটি দিনে মায়ের কত গুণকির্তণ আর অবহেলা, লাঞ্ছনার কথা বলবো। আজ বড্ড আদিখ্যেতা মনে হয়। তাই ৩৬৫টি দিনই
পৃথিবীর সব, সব মায়েদের ভালোবাসা, শুভেচ্ছা আর অনেক, অনেক শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। ভালো থেকো সকল মা...

Thursday, May 10, 2018

কে?

কে?
দিলিপ ঘোষ বললেন - কে অমর্ত্য সেন? তিনি কী করেছেন? আর অনুব্রত মন্ডল বললেন - শঙ্খ ঘোষ কে? রবীন্দ্রনাথ, নজরুল ইসলাম ছাড়া তো তিনি কোনো কবিকে চেনেননা। খারাপ লাগছে এজন্যই যে আমাদের দিদিও ভালো কবিতা লেখেন। তিনি দিদি কেউ কবি হিসেবে চিনতে পারলেননা বলে।
ঘোষ দা, অমর্ত্য সেন কে এবং তিনি কী করেছেন এটা যদি না জানেন তবে দেশে কেমন আচ্ছে দিন এসেছে অনুমান করুন। আর কেষ্ট দা শঙ্খ ঘোষ কে না জানলেও যাক, রবীন্দ্রনাথ বা নজরুল ইসলামকে তো উনি চেনেন। উন্নয়ন যে সত্যি রাস্তাঘাটে গড়াগড়ি খাচ্ছে তা তো দেখতেই পাচ্ছি। তাই, একজনকে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য আর আরেকজনকে রবীন্দ্রনাথ ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় বা নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য করা হোক।

Wednesday, May 9, 2018

লহ প্রণাম

"আমার প্রাণের মানুষ আছে প্রাণে
তাই হেরি তাই সবাই জানে"...

    আমাদের প্রাণের মানুষ, আমাদের প্রাণের কবি। সেই ছোট্ট বেলাতে কিশলয় পাঠ্য বই এ পড়া - "আজ ২৫শে বৈশাখ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন"। তখন কী আর জানতাম এ কোন রবি? এ কোন প্রাণের মানুষ তিনি। তবে, যত বড় হলাম তত এ রবি কিরণে উদ্ভাসিত হতে থাকলাম। কারণ, এ কিরণ যে মানুষের অজ্ঞতার অন্ধকার দূর করে। শুধু কি তাই? এ রবি মানব সভ্যতার অন্ধকার দূর করে। তাই যে যেভাবে পারি সেই আলোকে নিজের অন্ধকার দূর করেনি। কি গান, কি গল্প, কি কবিতা, নাটক, উপন্যাস, চিত্রবাণী। দর্শণ চিন্তা কোন না আলোক আছে রবি কিরণে? তাই, যে এ আলোককে  অস্বীকার করবে সে নিজে নিমজ্জিত থাকবে অজ্ঞতার গহীন অন্ধকারে। তাই, আগামী ২৫ শে বৈশাখ কবিপক্ষে আমরা আমাদের প্রিয় কবির জন্মদিবস। তার আগে থেকেই বাঙালীর শুরু কবিপক্ষ। যদিও আমরা বাঙালি আজ আত্মঘাতী বাঙালীতে পর্যবেশীত হয়েছি। আমরা রবি ঠাকুরকে জানতে চাইনা, পড়তে চাইনা, মানতে চাইনা, শুনতে চাইনা। আমরা আজ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাণীকে দূরে ঠেলে দিয়ে নিজস্ব গণ্ডিতে নিজেকে আবদ্ধ করে ফেলছি। আজ আমরা কূপমণ্ডূক হয়ে নতুন বৃত্ত তৈরীতে মাতোয়ারা হয়েছি। এ বড়ো যন্ত্রণার, বড়ো বেদনার। কিন্তু রবি ঠাকুর তিনি নিজে আশা ব্যক্ত করে বলেছেন -
"আজি হতে শতবর্ষ পরে.
কে তুমি পড়িছ বসি আমার কবিতাখানি. কৌতূহলভরে--.
আজি হতে শতবর্ষ পরে"।
তাই, আমাদের প্রাণের কবি শুধু কবিপক্ষে নয়, আজি হতে শতবর্ষ পরেও আমাদের রবি কিরণ ছড়িয়ে যাবেন। আর আমরাও সারাপক্ষ ধরে রবির কিরণে আলোকিত হবো।
(এই লেখাটি আকাশবাণী মুর্শিদাবাদ ও কলকাতাতে সম্প্রচারিত)

Friday, May 4, 2018

IPL -এর পাঁচ ফোড়ন

IPL -এর পাঁচ ফোড়ন।

(১) একজন জিজ্ঞেস করলেন কত হলো?
উত্তরে বলি ৩৬। উনি প্রতিউত্তরে বলেন সেই তো ৫০ দেখে এসেছে। তখন বলি মাফ করবেন, আমি আমার বয়সটা বলে দিয়েছি। আসলে উনি জানতে চেয়েছিলেন IPL ক্রিকেটের স্কোর কত?

(২) একজন বললেন, কে জিতবে?  আমি বললাম- দিদি সরকারে আছে। চারিদিকে উন্নয়ন, কাজেই পঞ্চায়েত দিদি সরকারই জিতবে। উনি বললেন - ভোট নয়, IPL ম্যাচটা কে জিততে পারে। আসলে মানুষের মতামতটা জেনে নিয়ে সে বেটিং ধরবে।

(৩) এমনি এক দাদা জানতে চাইলেন আজ কত রেট চলছে? বললাম, আজ শেয়ার মার্কেট রেট খুব খারাপ দাদা। দেশের যা অবস্থা,  ৪০০ পয়েন্ট পড়ে গেছে। উনি বিরক্ত হয়ে বললেন আরে ভাই শেয়ার মার্কেট  নয়। সে IPL বেটিং -এর রেট কত জানতে চাইছিলেন।

(৪) সকালে চায়ের দোকানে বসে আছি। একজন জিজ্ঞেস করলেন - গতরাতের কে জিতেছে? আমি সলজ্জিত হয়ে বললাম, কি আর বলবো দাদা, রাতের ঝগড়াতে আমার বউ ই জিতেছে। কারণ, বউ কথায়, কথায় পুলিয়ে বধূ নির্যাতনের কেশ করবে বলে ভয় দেখাচ্ছিল। উনি বললেন - "আমি IPL ম্যাচের কথা জানতে চাইছিলাম"।

(৫) এরপর ও যদি কেউ আমাকে IPL এর খবর জিজ্ঞেস করেন তবে বলি, দাদা আমি IPL এ নেই, আমি BPL তালিকাভুক্ত লোক।

Wednesday, May 2, 2018

লাইফ ইন এ মেট্রো

"লাইফ ইন এ মেট্রো"
একজোড়া যুবক যুবতী একে অপরকে ঝাপটে ধরে আলিঙ্গন করছেন। এমন সময় ট্রেন ছাড়ার বাঁশি। ট্রেন চলতে শুরু করলে আরও কটা কচাং, কচাং করে কিস করে নিয়ে নেমে পড়ল যুবকটি। যুবতীকে অঝোর নয়নে কাঁদতে দেখে অন্য মহিলা যাত্রীরা তাকে শান্তনা দিতে এগিয়ে এলেন। বললেন- কেঁদোনা মা। ক্ষেত্র বিশেষে,  জীবনে অনেকসময়  স্বামীকে ছেড়ে থাকতে হয়। যুবতীটি কাঁদো, কাঁদো কণ্ঠে বললো- আমি তো স্বামীর কাছেই যাচ্ছি মাসিমা। এই কথা শুনে যাত্রীরা সকল থ হয়ে রইলেন। কিন্তু, সৌভাগ্য যুগলের তাদের কেউ মার মার বলে এগিয়ে আসেনি।

Tuesday, May 1, 2018

প্রেমিক মানে শ্রমিক

প্রেমিক মানে শ্রমিক
কলকাতা নাকি সংস্কৃতির রাজধানী বা পিঠস্থান। সেখানে যে যার মতো খাবেন, পরবেন, চলবেন। এবং কৃষ্টি কালচার পালন করবেন। তাই, ভাগাড়ের মরা পশুর মাংস দেশী-বিদেশী রেসিপিতে বেশ আয়েশ করে খাবেন তা জানাই ছিলো। অতএব ভাগাড় কাণ্ডে আমি মোটেও অবাক নই। বরং খুশিই হয়েছি এই ভেবে যে, এতদিন যারা গো খায়না শুয়োর খায়না বা খাওয়া চলবেনা বলে গর্জে উঠেছিলেন তাদের জুতসই একটা জবাব দেওয়া গেল। কেননা ভাগাড়ই হয়ে উড়লো নানা ধর্মের সংস্কৃতির মিলনস্থান। তাছাড়া,  কলকাতায় কতইনা সংস্কৃতির মেলবন্ধন। সেই কলকাতাতেই চোখে পড়ব আরও এক আজব সংস্কৃতি। কলকাতার মেট্রোষ্টেশনে প্রেমে আলিঙ্গনরত যুগলকে মারতে মারতে মেট্রো থেকে বার করে দিলেন। কারা? কিছু বাপ-চাচা তূল্য লোক। সবার মুখে একই কথা আমাদের সময় এমন ছিলোনা! এরা সমাজের সংস্কৃতি নষ্ট করছে অতএব পেটাও। মজার ব্যাপার হলোকি, এরাও একদিন একই ভাবে প্রেম করেছেন। হয়ত অন্যত্র বা আড়ালে। কিন্তু যাদের নিভৃতে প্রেমকরার জায়গা নেই তারা কোথায় যাবেন? আর সর্বত্রই তো হায়েনার দল। তারচেয়ে এই জনারণ্য নিরাপদ স্থান। সেখানে এই শ্রমিক দিবসে প্রেমের দুই শ্রমিককে এভাবে পেটানো হলো? আসলে শ্রমিক চিরদিন শোষিত, অত্যাচারিত। কেননা প্রেম করতেও কম মাথারঘাম পায়ে ফেলতে হয়না। একজন প্রেমিক বা প্রেমিকাকে কতশ্রম বা আত্মত্যাগ করতে হয় তা প্রেমিক মাত্রই অবগত আছেন। কাজেই শ্রমিক জিন্দাবাদ, শোষক মুর্দাবাদ।

Saturday, April 28, 2018

"গোদের উপর"

"গোদের উপর"

মোদী সরকার আসার পার দেশে গ্রাম দত্তক নেওয়ার (গাঁয়োকা গোদ লিয়া) হিড়িক পড়ে যায়। কিন্তু ঐ গোদ নেওয়া গ্রাম আজও গোদেই থেকে গেল। গোদ থেকে তারা আর নামলা না, নেমে দু পা হাঁটলোও না। তাই, মোদী সরকার এবার গোদের উপর আর বিষফোঁড়া না নিয়ে দিল্লীর "লাল কেল্লা" কে ডালমিয়া গ্রুপের গোদে উপর দিয়ে দিলেন। ভারতে ঐতিহাসিক স্থাপত্যকলারও বেসরকারিকরণ হলো! তাও ভালো, ভাগ্যিস এটাকে কোন দেবতার ঘর বলে দখল করেনি।

Sunday, April 22, 2018

শালা তোরা মানুষ না বিজেপি বে?

তখন নীরব মোদীকে নিয়ে দেশ তোলপাড় আরকি। আমাদের এক খুব কাছের বন্ধুকে 'মোদী' বলে ডেকে ফেলেছি। ব্যস আর যাবি কোথায়? বন্ধুবর রেগে এক্কেবারে খাপ্পা।  আমরাও বুঝতে পারিনি আসলে সে এতো রেগে যেতে পারে! তাকে এখন বুঝিয়ে বলতে হবে সে কার টাকা মেরে খেয়েছে। আমরা বললাম, এ্যাকচুয়েলি তোকে মজা করে বলেছি। আর তোকে নীরব মোদী উদ্দেশ্য করে বলিনি কথাটা। একথা শুনে বন্ধুর রাগ চড়েগেল সপ্তমে। কারণ, এবার সে নিশ্চিত তাকে আমরা ঢপেন্দ্র মোদী থুড়ি 'নরেন্দ্র মোদী'র সঙ্গে তুলনা করেছি। তাকে আর কিছুতেই বোঝানো যায়না। আমরা তাকে সেই অর্থেও বলিনি। তার একটি পোঁ আমাকে কেন মোদী বললি? আমরা বললাম- দেখ দেশে মোদী আসারপর আমাদের দেশে ও সমাজে কত বদল হয়েছে। সমাজ জীবনের কত উন্নতি। বিশেষ করে চাওয়ালাগুলোও নিজেকে কেউকেটা ভাবতে শুরু করেছে। কারণ, এতোদিন হতোকি এই পাঁচটা চা দিয়ে যা বলে আদেশ করা হতো। এবং শেষে পয়সা না মিটিয়েই থাকলো বলে চলে যেত। এখন তুই ভাবতো আমরা যে চায়ের দোকানে রোজ চা খাই তুই তাকে ঐ আগের মতো অর্ডার করে বলে পয়সা নিয়ে দিয়ে আসতে পারবি? বন্ধু কিছু বলেনা। রাগ পড়েছে ভেবে আমি আরও বলে চলি- এই যে বিদেশ-বিভুইয়ে আমাদের দেশের লোক গেলেই সব খুলে তল্লাশি করে। নরেন্দ্র মোদী এত্তো দেশ ঘুরছেন, কেউ কিছু বলার সাহস করেছে? দেখ তবে বিদেশেও কতো আমাদের সম্মান বেড়েছে। বন্ধু এতোক্ষণ সব চুপচাপ শুনে বললো- সালা তোরা মানুষ না বিজেপি বে? আমরা ভয়ে আর কোন কথা বলিনি।

Saturday, April 21, 2018

একদিন ফিরে এসে বলব।

একদিন ফিরে এসে বলবে।

একটা নতুন খবর পাচ্ছি, জন্মু ও কাশ্মীরের আট বছরের শিশুটির গণধর্ষণ তো দূরের কথা ধর্ষণই নাকি হয়নি। খবরটিই যেন সত্যি হয়। কারণ, ধর্ষণের  যে ভয়াবহ বর্ণনা শুনেছি তাতে এমন যেন কারো সাথে না ঘটে। কিন্তু, পরের রিপোর্টে শুনবো ঐ ছোট্ট মেয়েটির মৃত্যু স্বাভাবিক। ঈশ্বর এটাও যেন সত্যি হয়। নইলে, একটা ফুলের মতন নিষ্পাপ শিশু যেভাবে অকালে ঝড়ে গেল। তা যেন আর কারো সাথে না ঘটে। যাতে করে কিছু লোক মৃত্যু নিয়ে, ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করার সুযোগ না পায়। আর ঈশ্বর যদি এমন হয়, ঐ ছোট্ট মেয়েটি তার প্রিয় ঘোড়াটির পিঠে চড়ে একদিন ফিরে এসে বলে - "মা আমি ঘোড়া নিয়ে অনেক, অনেকদূর চলে গিয়েছিলাম। তোমাদের না দেখে খুব মনটা খারাপ করছিলো তাই আবার চলে এলাম। ঈশ্বর এই খবরটি শোনার প্রতীক্ষাতে রইলাম...

আর অনুরোধ রাখতে পারছিনা বন্ধু!

আর অনুরোধ রাখতে পারছিনা বন্ধু!

২০১০। হাতে আসে জিপিআরএস এনাবেল মোবাইল ফোন। তখনই ফেসবুকের সাথে দেখা। তার আগে সংবাদ পত্রে "ফেসবুক" শব্দটি নাম জানা। বলা যেতে পারে এটা তো আমারই জন্য। কেননা, যারা ছোট্ট বেলা থেকে কাছের ও দূরের, চেনা বা অচেনা জনের সঙ্গে চিঠিপত্র লেখে। তারপর মোবাইল যুগের সময় নিয়ম করে বন্ধুদের এসএমএস করে, ছোটবেলার বন্ধু-বান্ধবীদের খুঁজে, খুঁজে ফেরে ফেসবুক তো তাদের জন্যই।
নিজেই কেরামতি করে ফেসবুকে এ্যাকাউন্ট বানিয়ে ফেলা। তারপর বন্ধুদের খোঁজা
নাহ! হারিয়ে যাওয়া বা চেনা কোন বন্ধুর খোঁজ পাইনি তেমন। অতএব যারা আছেন তাদের সঙ্গেই যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা। অচেনা কে রিকোয়েস্ট, ভুল ভাল ছবি বা অশ্রাব্য মন্তব্য করে কতবার যে ব্লক হয়েছে আজ মনে নেই। তবে সারাদিন মোবাইল নিয়ে ঠুকুস ঠুকুস করে বন্ধুদের কত যে বিরাগ ভাজন হয়েছি তারও ইয়ত্তা নেই। যদিও পরে তারাই এখন জিজ্ঞেস করে দেখ তো বন্ধু ফেসবুকটা লগইন করতে পারছিনা।
তবে, দিন যতই গেছে ফেসবুকের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে গেছি, বা যাচ্ছি। কারণ, এখানে আমি আমার অনেক হারানো বন্ধু-বান্ধবী বা অচেনা সুজনের দেখা পেয়েছি। তাঁদের সংস্পর্শ, সাহচর্য আমাকে সমৃদ্ধ করেছে। আমাকে মানুষ হতে শেখাচ্ছে।

         বন্ধুরা আমি একাধারে আনন্দিত এবং দুঃখিতও। আনন্দিত একারণেই, আপনারা আমার এতো সব ভালো বন্ধু বলে। আমি আপনাদের সান্নিধ্য পেয়েছি বলে। আর দুঃখিত একারণে যে, নতুন করে পাঠানো কারো ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট আমি কনফার্ম করতে পারছিনা। কেননা, ফেসবুক জানাচ্ছে আমি ৫০০০ হাজারের নির্দিষ্ট সীমা শেষ করে ফেলেছি।  তাই নতুন করে আর কেউ রিকোয়েস্ট পাঠাবেননা। তবে, ফলো করতেই পারেন। ফলো করলেও আপনি আমার বন্ধুজন, সুজন। তাছাড়া, কাকেই বা বন্ধু তালিকা থেকে বাদ দিই বলুন? সবাই যে আমার বন্ধু। তবে, কিছু তো ছেঁটে ফেলা যায়। কিন্তু নাহ! এমন অনেকেই নিশ্চয় থাকবেন যাঁরা আমাকেই ছেঁটে ফেলবেন। বরং সেটাই করুন। আমি সবার বন্ধু হতে চাই। তবে, যাঁরা অনর্থক মেসেজ করেন, ফোন করেন বা আজেবাজে অডিও ভিডিও পাঠান তাদের বিশেষ অনুরোধ, খারাপ লাগে বা লাগতে পারে এমন কিছু পাঠাবেননা। নইলে উত্তর পাবেননা। কারণ, অনেকেই অভিযোগ করেন, আমি সাড়া দিইনা। বন্ধু আমি সবাইকে সাড়া দিই, দেবার চেষ্টা করিও। তবে, ভালো কিছু, কাজে লাগে এমন শেয়ার করলেই সাড়া পাবেন।  আমারও কিছু ভুল হলে বলবেন, ক্ষমা করবেন।

Friday, April 20, 2018

"শিশুর বাস যোগ্য..."

দেশে ধর্ষণ বাড়ল ৫০% থেকে ৬০%। তারমধ্যে শিশুধর্ষণের হারই ৪০%! ছেলেবেলাই পড়া কবিতা-

"বিশ্বকে এ-শিশুর বাসযোগ্য করে যাবো আমি— নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার"।

কবিতার কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য আজ বেঁচে থাকলে কি বলতেন জানিনা।  কিন্তু পৃথিবীকে শিশুর বাসযোগ্য করার হয়ত আর দরকার পড়বেনা। কারণ, যে হারে আমরা শিশুর জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছি তাতে, পৃথিবীতে আর শিশু থাকবে কিনা সন্দেহ। এবার আমার শহর জঙ্গীপুরও বাদ গেলনা। তেঘরীর আম বাগানে আম কুড়োতে যাওয়া এক ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করলো সেঞ্জারুল সেখ নামে এক পিশাচ। তবে, আশার কথা শিশুটি আতঙ্ক নিয়েও বেঁচে আছে। আমার ঘরেও দুটি ছোট্টছোট্ট মেয়ে রয়েছে। তাই খুব ভয় করছে। কোথায় পাঠাবো আর কাকেই বা বিশ্বাস করবো? তেমনি, আপনাদের বাড়ির শিশুগুলি আমার স্কুলে, বাড়িতে পড়তে আসে। আপনি ভাবেন, আপনার বাচ্চাটি আমার কাছে নিরাপদ কিনা! নিশ্চয় ভাবেন। বা ধর্ষিত ঐ ৫ বছরের শিশুটি যদি আমাকে পুরুষ দেখেই চেঁচাতে শুরু করে, তবে এর চাইতে লজ্জাকর আর কিছু আছে?

Wednesday, April 18, 2018

ক্যাশলেস ইন্ডিয়া

"ক্যাশলেস ইন্ডিয়া"

প্রথমে নোট নন্দি, এবার নোটই গায়েব। উনি বলেছিলেন, মাত্র ৫০ দিন। কিন্তু এখনো দেশে টাকা মিলছেনা! আসলে উনি হয়ত ৪ বছর ১০ মাস এবং ৫০ দিন চেয়েছিলেন। যেটা আমরা বুঝতে পারিনি। গ্রামের উন্নয়ন রাস্তাতে দাঁড়িয়ে আর দেশের উন্নয়ন রাস্তা ছাড়িয়ে বিদেশে পাড়ি দিয়েছে। মিঁত্রো দেশ বদল রাহাহে ইয়া নেহি?
ইন্ডিয়া ক্যাশলেস হুয়া ইয়া নেহি?

Tuesday, April 17, 2018

শম্ভুলালের শিষ্য!

"শম্ভু লালের শিশ্য"
আপনার মোবাইলের ওয়ালপেপারে আপনি নিশ্চয় আপনার প্রিয় নায়ক - নায়িকা, ক্রিকেটার, দেশনায়ক, পশুপাখি বা নৈসর্গিক দৃশ্য রাখেন। কখনো নিজের, প্রিয়জনের বা প্রেয়সীর। কিন্তু অবাক হবার শেষ নেই, কিছু ছেলে মোবাইল ওয়ালপেপারে সেই "কুখ্যাত শম্ভুলাল সিং রেগর" (পড়ুন টেররিষ্ট) -এর ছবি রাখে। এবং সগৌরবে বলে সেই জঙ্গী নাকি তার গুরু! ভাবুন একবার। তারা আবার আমার বা আপনার এলাকাতেই বাস করে। আমাদের আশপাশেই ঘুরে বেড়ায়। এদের থেকে সাবধান থাকবেন। নইলে এরাও যেকোন দিন, যেকোন সময় মানুষ খুন করতে পারে।

Sunday, April 15, 2018

"হালখাতা"

 হালখাতা


দিনশেষে ব্যাজার মুখে বসে পটলদা। এবেলাটা নতুন আর পুরাতন খদ্দের নিয়ে পারকরে দিলেও ভেবেছিলেন ওবেলাটা ভালোই হবে। কারণ, বিকেলবেলাটা মিঠিপুর পুরাতন হাটের কদর ভালোই। কিন্তু নাহ! পটলদা মিষ্টির প্যাকেট আর নতুন খাতা নিয়ে বসে থাকলেও পুরনো খদ্দেররা আসেনি। হালখাতার হাল কী(?) জিজ্ঞেস করতেই বলে ফেললেন- মিষ্টির টাকাটায় উঠলনা।

Saturday, April 14, 2018

"তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সূচনা"

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা
দীর্ঘ ৭ বছর যাবত সিরিয়াতে ঘটে চলা গৃহ যুদ্ধে নানা বিভৎস ঘটনার সাক্ষী তামাম বিশ্ব। সম্প্রতি কথিত রাসায়নিক গ্যাস প্রয়োগ এবং ফলস্বরূপ ৭৫ জনের হৃদয় বিদারক মৃত্যু! তারমধ্যে অধিকাংশ শিশু। গোটা দুনিয়া চাক্ষুষ করেছে সে নির্মম দৃশ্য। নিন্দা ও সমালোচনার ঝড় বিশ্বজুড়ে। ফলে নড়েচড়ে বসেছে শক্তিধর দেশগুলো। মার্কিনযুক্ত রাষ্ট্র, ব্রিটেন, রাশিয়া এবং ফ্রান্স সহ অন্যান্য দেশগুলি। ইতিমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার সহযোগী দেশ ব্রিটেন ও ফ্রান্স সিরিয়াতে হামলা শুরু করেছে। রাশিয়াও বলেছে তারাও চুপ করে বসে থাকবেনা। চুপ করে বসে না থাকার আসল উদ্দেশ্যটা কিন্তু পরিষ্কার করে বলেনি। পরিষ্কার করে না বললেও ধরে নেওয়া যায় তারাও শীর্ঘ্রই হামলা শুরু করবে। কিন্তু কাকে? আমেরিকা কে নাকি তার সহযোগী দেশগুলিকে? হামলা তারাও যে সিরিয়াতে করবে এটা পরিষ্কার। ফল কি হলো- আমেরিকা ও তার সহযোগী দেশ অন্যায় কে সায়েস্তা করতে সিরিয়াকে হালমা করবে। রাশিয়া ও তার সহযায়ী দেশও অন্যায় কে জব্দ করতে ঐ সিরিয়া হামলা করবে। আর আসাদ তো অন্যায়কারীদের প্রস্রয় নাদিতে সেউ নিজভূমি সিরিয়া হালমা করছে। এই তিন আক্রমণে মরছে বা মরবে কে? সাধারণ মানুষ। অথচ, আজ পর্যন্ত এটি কেউ ধরতে পারলোনা কথিত রাসায়নিক হামলাটা আসলে কারা করলো? আমেরিকা বলে, আসাদ, আসাদ  তা অস্বীকার করে। তাছাড়া আমেরিকার প্রবল সন্দেহ এটা রাশিয়া, মার্কিন বিরোধী জঙ্গীগোষ্ঠী দ্বারা একাজ সংঘটিত করেছে। রাশিয়ার দাবী আমেরিকা সিরিয়া অভিযান চালানোর নয়া ফন্দি এঁটেছে। কিন্তু প্রশ্ন এ উন্নত বিশ্বে আজও কি অনুমান করে একটা যুদ্ধ শুরু হবে? ওরা এটা জানতে পারলোনা এ ঘৃণ্য কাজের আসল জনক কে? জানে সকলেই। কিন্তু অনুমান না করলে যুদ্ধ করা যে দাই। তাই, সিরিয়াতে কে রাসায়নিক গ্যাস প্রয়োগ করলো প্রমাণ না করেই সিরিয়া রাসায়নিক অস্ত্র মজুত করেছে এটা অনুমান করে নিলে হামলা করা সহজ। এবং আফগানিস্তান, ইরাক, লেবাননের মতো গোটা দেশকে ধ্বংস করে দিয়ে শেষে কিছু না মিললে, সরি বললেই সাত খুন মাফ। তানাহলে সিরিয়াতে কটা জঙ্গীকে খুঁজে মারতে দুনিয়ার এতো উন্নত দেশগুলোর গোটা দেশ কে কেন ধ্বংস করতে হবে? মজা তো সেখানেই। কে সবচাইতে শক্তিধর আমেরিকা নাকি রাশিয়া? এটা প্রমাণ হবে কী করে। অতএব এটা করতে একটা দেশকে যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে বেছে নিতেই হবে। এবং সেটা নিশ্চয় হবে কোন মুসলিম দেশ। কাজেই আফগানিস্তান, ইরাকের পর সিরিয়া সেই দেশ। যাকে ধ্বংস করো। আমেরিকা আর রাশিয়ার মধ্যে ক্রমশ বেড়ে চলা রাজনৈতিক চাপানউতোরের মাঝে সিরিয়ার উলুখাগড়ার প্রাণ যাবে। আচ্ছা কে বেশী শক্তি শালি এটা প্রমাণ করতে আপনারা নিজের দেশে যুদ্ধ করুন না। না তা করবেননা জানি। আসলে আমেরিকা আর রাশিয়া তারা আগেভাগেই সেটিং করে রেখেছে। আমরা যুদ্ধ, যুদ্ধ খেলা খেলবো কিন্তু অন্য দেশে। মরলে, ধ্বংস হলে তারা মরুক, ধ্বংস হোক। আমরা নয়।